নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক, নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন চুয়াডাঙ্গার বারটি সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছিল। তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তারা আমাদের দেশের নাগরিকদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে অথচ আমরা কোন প্রতিবাদ করতে পারি না। তারা প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন সীমান্তে জনগণের উপর জুলুম নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত খাদ্যশস্য মাছ সহ বিভিন্ন দ্রব্য লুটপাট করে নিয়ে যায়। সীমান্তের জনগণ প্রতিবাদ করলে তাদের উপর জুলুম নির্যাতন চালায়। তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে গুলি করে হত্যা করে লাশ নিয়ে যায়। অথচ সরকার এ ব্যাপারে কোন প্রতিবাদ না করে, উল্টো সীমান্তে বসবাসরত, জনগণের উপর দোষারোপ করে।তিনি আরো বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ভারতের দালাল, ভারত তাদের দালাল এই সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বারবার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে। ২০১৪ সালে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুজাতা সিং কে দেশে পাঠিয়ে নগ্নভাবে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন তাদের দালাল সরকারকে পুনরায় ১৫৪ সিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনে। এরপর ২০১৮ সালেও একি অবস্থা করেছে এখন ২০২৪ সালেও তারা গোপন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের দালালকে আবার পুনরায় ক্ষমতায় আসীন করার জন্য। আমরা এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।
ভারতের উদ্দেশ্যে মাসুদ হোসেন বলেন, ভারত যত এদেশের জনগণের মতামতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তত এ দেশের জনগণ ফুঁসে উঠবে। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত ফাইনাল খেলার দিন এর বাস্তব নমুনা ফুটে উঠেছে। ভারতকে বলব আপনারা সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা ফিরিয়ে দিন আর কোন একক দল বা ব্যক্তির সাথে নয় এদেশের জনগণের সাথে বন্ধুত্ব করুন, তা না হলে বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের শত্রু হিসেবে বিবেচিত করবে।
Tags: সীমান্ত