বিবৃতিতে তিনি বলেন, সীতাকুন্ডে সীমা অক্সিজেন কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ৬ নিহত ও ২৫ জন আহতের ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি এবং নিহতদের ক্ষতিপুরন ও আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন করতে হবে। একই সাথে প্রতিটি কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ভবিষ্যৎ যেন এ ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
কমরেড সামাদ আরও বলেন, সীতাকুন্ড—বারবকুন্ড ভারী শিল্প এলাকায় একের পর এক দুর্ঘটনা গভীর উদ্বেগের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। গত বছর বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫০ জন নিহতের ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই আবার ৬ জন নিহত ও ২৫ জন আহত। সীমা গ্রুপের মত বড় প্রতিষ্ঠান যেখানে অক্সিজেন তৈরি হতো সেখানে এ ধরনের বিস্ফোরণ কারখানার নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান মালিকের মুনাফার দিকে যত নজর দিয়েছে নিরাপদ কর্মপরিবেশ দিকে তত নজর দেয়নি। এখানে একই সাথে একটি কারখানার নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ যাদের তদারকি করার কথা সেই সব সরকারি প্রতিষ্ঠান কলকারখানা পরিদর্শন, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতা ও সীমাহীন অবহেলাও গভীর উদ্বেগের। শিল্প মালিক ও সরকারি নজরদারি প্রতিষ্ঠানের সীমাহীন অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার ফলে দেশের বিভিন্ন শিল্প এলাকায় অসংখ্য শ্রমিক কাঠামোগত হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছেন, আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছেন।
তিনি বলেন, অবিলম্বে সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণে অবহেলায় দায়িদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি এবং নিহতদের ও আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।