সকালের কাগজ ডেস্ক◊◊
সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমিপল্লী এলাকায় সাংবাদিকের গ্রে রংয়ের হোন্ডা হরনেট কোম্পানীর ১৬০ সিসি মটরসাইকেল চুরি হওয়ার ঘটনায় ‘বাড়ির মালিক ও সিকিউরিটি গার্ড, জড়িত সন্দেহে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, চুরির ৭ দিনেও মটরসাইকেল উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সাংবাদিক সহ এলাকাবাসী।
গত ৪ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী এলাকার ওসমান গণির বাড়ির গ্যারেজ থেকে মটরসাইকেলটি (ঢাকা-মেট্রো-ল-৪৪-৩৫৪০) চুরি হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই সাংবাদিক নুরুল আজিজ চৌধুরী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও জানা গেছে, সাংবাদিক নুরুল আজিজ চৌধুরী পরিবার পরিজন নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী এলাকার ৬ নং সড়কের ৬৫/এ বাড়ীর চতুর্থ তলায় ভাড়ায় বসবাস করছেন। প্রতিদিন কাজ শেষে বাসায় ফিরে বাড়ীর নিচতলায় অন্যান্য ভাড়াটিয়ার মটরসাকেলের সাথে তাঁর মটরসাইকেলটি রাখেন।
গত ১ এপ্রিল ঈদের ছুটিতে মটরসাইকেল রেখে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যায় সাংবাদিক নুরুল আজিজ। এরপর ৪ তারিখ সকালে এসে দেখে তাঁর মটরসাইকেলটি নেই।
এ বিষয়টি কেয়ারটেকার খোকন ও বাড়ীর মালিক ওসমান গণিকে জানানাে হলেও তারা কোন কিছুই জানেনা বলে জানায়।
ঘটনাটি থানায় জানিয়ে অভিযোগ দিলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই আশরাফ উজ্জামানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
ঘটনার ৭ দিনেও মটরসাইকেল উদ্ধার না হওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিকসহ এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত মটরসাইকেল উদ্ধারের দাবি জানান।
এবষিয়ে এলাকাবাসী জানান, এ বাড়ীতে আগেও একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটেলেও মালিক কোন ব্যবস্থা নেয়নি। নীচ তলা পুরোটাই কারপার্কিং রাখার কথা থাকলেও রাখা হয়নি। দেয়া হয়নি বাড়ির সামনে কোন কেচি গেইট। মালিকের উদাসীনতায় প্রায়ই এমনটি ঘটছে দাবি এলাকাবাসীর।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশরাফ উজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নীচ তলার সামান্য অংশ ফাঁকা রাখা হয়েছে যেখানে মটরসাইকেল রাখা হয়। নিরাপত্তার জন্য দেয়া হয়নি কোন কলাপ্সিবল গেইট, জানালায় নেই কোন গ্রিল, নেই কোন নাম ফলক। তাছাড়াও একজন মাত্র কেয়ারটেকার রয়েছে। অরক্ষিত জায়গা থেকে চুরি হওয়ায় এর দায় বাড়ির মালিকের উপর বর্তায়।
তিনি আরও জানান, বাড়ির মালিক ওসমান গণির কথায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। মটরসাইকেল উদ্ধারে তদন্ত চলমান রয়েছে। দ্রুতই ভাল খবরের আশা করছি।