নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শিমরাইল এলাকায় ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণলংকার নেয়ার অভিযোগ এনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে গার্মেন্টসকর্মী আসমা বেগম।বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পুলিশ সুপার বরাবর স্মারক লিপিতে আসমা বেগম উল্লেখ করেন, প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার (১লা ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায় বাড়িতে তালা দিয়ে কর্মস্থলে যোগদান করি। পরে বিকেল ৫ টায় বাড়িতে এসে জানতে পারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য আমার ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় ওয়াড্রবে রাখা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার নিয়ে যায়।
ঐ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা প্রতিবেশীরা পুলিশ সদস্যদের ঘরের তালা ভাঙ্গার বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের কাছে তার বিরুদ্ধে মাদক মজুদ রাখা ও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। তাই আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। কিন্তু পলিশ সদস্যরা ঘরে তল্লাশী করে কোন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে পারেনি। এদিকে মানববন্ধনে আসমা বেগম জানান, আমি একজন গার্মেন্টসকর্মী, কোন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত নই।
একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ সকল মিথ্যা অভিযোগ করছে। তবে কে বা কারা এই ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে তা আমি জানি না। পুলিশ সদস্যগন চলে যাওয়ার সময় আমার প্রতিবেশীদের কাছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমি আমার পরিবার নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছি।
কারন ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান চালিয়ে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করতে পারে। তাই আমি জেলা পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করেছি। সেই সাথে সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ফরিদা বেগম, সেলিনা বেগম, তাছলিমা বেগম, রেনু, আয়শা সহ আরো অনেকে।
এ বিষয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছি। ঘর খোলা ছিলো উপস্থিত লোকজনদের সামনেই আমরা অভিযান চালিয়েছি। তবে কোন মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি।