নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম মনু অভিযোগ করে বলেছেন, সালাউদ্দিন আহমেদের গণসংযোগে মধ্যে বহিরাগতরা প্রবেশ করে সহিংসতা তৈরি করছে।
মনু বলেন, নিজেরা নিজেরা সহিংসতা তৈরি করে বুঝাতে চাই বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নাই। আমরা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হতে দিবো না। আমরা উৎসবমুখর নির্বাচন চাই। নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে সালাউদ্দিন।
আজ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মনু বলেন, আগামী কাল আমার নির্বাচনী অফিসের পাশ দিয়ে বিএনপির সালাউদ্দিন আহমেদের গণসংযোগ যাচ্ছিল সেখানে যুবলীগের নেতাকর্মীরা ছিল। গণসংযোগ নিয়ে যাওয়ার পথে সর্বপ্রথম আমার পার্টি অফিসে তারা ঢিল মারে। আমি ছিলাম না এরপর সহিংসতা তৈরি হয়েছে। আমার কোন লোকজন তাদের সঙ্গে কোন ধরনের সহিংসতা লিপ্ত হয়নি।
তিনি বলেন, প্রশাসনের দায়িত্ব যারা ছিলো তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে তারা আমার পার্টি অফিসে হামলা করেছে। সালাউদ্দিন হেরে যাবে বিধায় তিনি সহিংসতা তৈরি করছে এবং অভিযোগের পাল্লা ভারী করছে।
তিনি বলেন, বিএনপির স্বার্থ হাসিলের জন্য সালাউদ্দিন আহমেদ তামাশা করতে এলাকায় থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছে। এলাকার ছেলে নবীউল্লাহ নবী নবীকে মনোনয়ন না দিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ একজন বহিরাগত দিয়েছে। এই বহিরাগতরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন ধরনের ইস্যু তৈরি করছে। আমি আমার প্রত্যেকটা কর্মীকে বলেছি আপনার কারো সঙ্গে সহিংসতা করবেন না। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে ভোটের রেজাল্ট যাই হোক সেটা গ্রহণ করবো।
মনির ইসলাম বলেন, সালাউদ্দিন দেখাতে চাই বাংলাদেশের নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নাই। এজন্য তিনি এ সমস্ত কার্যক্রম করছে। আমি কোনো সহিংসতা চাই না, আমি উৎসবমুখর নির্বাচন চাই।
তিনি বলেন, আমার সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশিদ মুন্না তিনি ও একজন এমপি ক্যান্ডিডেট ছিল কিন্তু সে তো আমার প্রধান নির্বাচন পরিচালনা কমিটি হিসেবে কাজ করছেন। এবং অত্যান্ত দায়িত্ব শেষে এ নির্বাচন করছে।সালাউদ্দিন আহমেদ নবী আল্লাহ নবী কে ম্যানেজ করে নির্বাচনী মাঠে আসতে পারিনি এটা সালাউদ্দিন আহমেদের ব্যর্থতা। যার কারণে এসব সহিংসতা তৈরি করছে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
এ সময় তিনি বলেন, সালাদের আহমেদ নিজেও বহিরাগত, বহিরাগত লোক এনে এলাকায় নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে।
মনু বলেন, আপনারা জানেন এর আগে নির্বাচনের সালাউদ্দিন আহমেদের নির্বাচন বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। বিএনপি আর লোক পায় নি ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় হস্তান্তর করেছে।
তিনি বলেন, সালাউদ্দিন আহমেদ পানির বাবদ এলাকার সাধারণ মানুষকে পিস্তল দিয়ে গুলি করেছে এলাকার মানুষ তাকে পছন্দ করে না। এরপর সাধারণ মানুষ তাকে দৌড়ানি দিয়েছিল সেই থেকে তাকে বলা হয় দৌড়ানি সালাউদ্দিন। এ দৌড় সালাউদ্দিনকে এলাকার মানুষ কেউ পছন্দ করেনা।
মনু অভিযোগ করে বলেন, সে হারবে পরাজয় গ্রহণ করবে বিদায়, দলের লোকের সঙ্গে দেখা করে না। সালাউদ্দিন আহমেদ আর নবীউল্লাহ নবীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ রয়েছে এটাকে পুঁজি করে আমাদের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। কোন অপ প্রচার মাধ্যম এ নির্বাচন ধ্বংস করতে পারবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আমি এলাকার ভোটারদের ব্যাপক সাপোর্ট পাচ্ছি আশাকরি জয়যুক্ত হয়ে এলাকার মানুষের পাশে থাকব।
মনিরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে এটা বলতে চাই, আমার এলাকার নির্বাচন খুব পরিচ্ছন্ন হবে এবং ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। এবং আমার নেত্রীকে উৎসবমুখর পরিবেশের মাধ্যমে ঢাকা ৫ উপহার দিবো ইনশাল্লাহ।
এসময় এলাকার উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ডেমরা যাত্রাবাড়ী তে ২০ লক্ষ লোকের বসবাস। আমার এলাকায় অনেক কাজ হয়েছে অনেক কাজ বাকি ও রয়েছে। আমি যদি জয়যুক্ত হই তাহলে সরকারের উন্নয়নের জোয়ার অব্যাহত রাখব।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমার এলাকায় কোন সরকারি স্কুল ও হসপিটাল নাই। আমি নির্বাচিত হলে নেত্রীর হাতে পায়ে ধরে, সরকারি স্কুল, হসপিটালসহ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের লক্ষে নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখবো।এজন্য ভোটারদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন নির্বাচনের দিন ভোট দিবেন ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা বিজয়ী হবো।