ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
সার ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে চিন্তায় পড়েছেন উত্তরের জনপদের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষকরা। সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি অপর দিকে অনাবৃষ্টি, সে কারণে উৎপাদন খরচ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলেও সে তুলনায় ধানের দাম পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
১৩ উপজেলার মধ্যে ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষকরাও পিছিয়ে নেই। এখানে ধানের পাশাপাশি ভুট্টা, আলু, সরিষা সহ বিভিন্ন শস্য আবাদ হয়ে থাকে।
কৃষকরা জানান, তীব্র দাবদাহে আর অনাবৃষ্টির কারণে মাটি ফেটে চৌচির। চলতি আমন ধানটা অনেকটাই সেচের ওপর নির্ভর করে। সেকারণে এই সেচ দিতে হয় শ্যালো মেশিনের দ্বারায় ডিজেলের মাধ্যমে। ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে এবার সেচের মূল্য অনেকটাই বেড়ে গেছে। তাছাড়া বিঘা প্রতি সার কিনতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। ডিজেল লিটারে ৩৪ টাকা ও ইউরিয়া সার কেজি প্রতি ৬ টাকা দাম বাড়ার কারণে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি। সেই তুলনায় ধানের উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা সেই চিন্তা পেয়ে বসেছে আমাদের। ১ বিঘা জমি চাষ করতে লাগতো ১০০০ টাকা কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে ২০০০ টাকা হয়ে গেছে।
উপজেলার পালশা ইউপির কৃষক সাহেব আলী বলেন, ডিপের পানি দিয়ে জমি চাষ করতেছি। লোডশেডিং এর কারণে সব সময় পানি সেচ দিতে পারছি না। বেশি দামে ইউরিয়া কিনতে হচ্ছে কিন্তু পটাশ পাচ্ছিনা। জমি ফেলে রেখে কি করব এজন্য বেশি টাকা খরচ করে হলেও আমরা চাষাবাদ করছি। কৃষক মিঠু মিয়া বলেন, প্রচন্ড রোদের তাপে জমিতে পানি থাকছে না, জমি শুকে ফেটে যাচ্ছে। খারি গুলোতে পানি নেই, আধা শুকনা জমিতে চারা রোপণ করেছি। পানি সেচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত সব জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। ধানের দাম যদি না বাড়ানো হয়, তাহলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার জানান, ইউরিয়ার দাম বিঘা প্রতি ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এটা কৃষকের উপরে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে আমি মনে করি। পটাশের চাহিদা ছিলো ৪৫০ টন তবে আমরা ১০৪ টন সরবরাহ করেছি। আমাদের উপজেলার আবাদি জমির পরিমাণ ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর। তারমধ্যে ১১হাজার হেক্টর এরও অধিক জমিতে আমন ধান রোপণ সম্পূর্ণ হয়েছে।