নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ইউরিয়া সারের মূল্য প্রতি কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধি করায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, লোডশেডিংয়ে যেখানে কৃষকের সেচ ব্যাহত হচ্ছে, সেখানে ইউরিয়ার মুল্য বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা বৃদ্ধি কৃষি উৎপাদন বেশী পরিমান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ফলে খাদ্য নিরাপত্তাও অনিশ্চিয়তায় পড়বে।
বুধবার (৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা ইউরিয়া সারের মূল্য পূর্বাবস্থায় রাখার দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে সারের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল ও প্রকৃত কৃষকের কাছে সরাসরি ভেজালমুক্ত সার পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে সরকারকে।
নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমান বিশ্বে যে সংকট শুরু হয়েছে তা থেকে রক্ষার অন্যতম উপায় হলো দেশের কৃষি উৎপাদন। দেশের কৃষক পর্যাপ্ত ফসল উৎপাদন করলেও মধ্যসত্তভোগি ও দালাল শ্রেণীর কারণে তারা সকল সময় ফসলের লাভজনক মূল্য পায় না। সারের মূল্য বৃদ্ধিতে ফসলের উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পাবে। যার তার প্রভাব পড়বে উৎপাদিত মূল্যের ওপর। ফলে সাধারণ মানুষের সংকট আরো বৃদ্ধি পাবে, যা কোনোভাবেই দেশবাসীর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।
তারা কম মূল্যে প্রকৃত কৃষকের কাছে কৃষি উপকরণ সরবরাহের দাবি জানিয়ে বলেন, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষার কারণেই সরকারকে সারের মূল্যবৃদ্ধি করতে হচ্ছে। আর এই দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা শ্রেণীর কারণে সরকার ক্রমান্বয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যর অসহনীয় মূল্য বৃদ্ধি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, জ্বালানির অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে, জনগণ সোচ্চার হয়ে উঠছে তখনই সরকারের সারের মুল্য বৃদ্ধি জনবিরোধী সিদ্ধান্ত ছাড়া অন্য্ কিছুই নয়।