সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আদমজী ইপিজেডে ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছেন পানি আক্তার। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি। এই ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। জামাল কসাই (৪২) ও ভান্ডারিপুল এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে আপন (১৮)।মামলা সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের মারুহিশা নামক একটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ঠিকাদারি ব্যবসা করেন পানি আক্তার।দীর্ঘ দিন ব্যবস্ াকরে আসছিলেন।এদিকে একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজ মন্ডলের সমর্থিত কসাই বাবু ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। ২নং আসামী করা মানিক মাষ্টার ও ১৮ নং আশ্রাফকে মামলা জড়ানো হয়েছে। এ সময় বর্তমান কাউন্সিলর আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি ২৮ জানুয়ারী নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আদালত পাড়ায় যুবলীগ নেতা খন্দকার মানিক মাষ্টার ও আশরাফসহ আরো নেতা কর্মীরা নির্বাচনে আদালত পাড়ায় ছিলেন।তখন নারায়নগঞ্জে আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবি এবং সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে আদমজী ইপিজেডে একটি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নেয়াকে কেন্দ্র করে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।এদিকে রবিবার ৩১ জানুয়ারী দুপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নারায়নগঞ্জের অতি:পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী।এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, আদমজী ইপিজেডের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় দুজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।এ বিষয়ে খন্দকার মানিক মাষ্টার জানান , একটি চক্র র্দীঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপ প্রচার ভাবমূর্তি নষ্ট করার পায়তারা চালাচ্ছে।চক্রটি নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নানা ধরেনের অপকর্মে লিপ্ত হয়ে সাধারণ জনগণকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।সারাদিন আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতির সাথে ২৮ জানুয়ারী নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আদালত পাড়ায় থেকেও বিবাদীর থেকে মামলার রক্ষা পাইনি।