শেরপুর প্রতিনিধি♦♦
শেরপুর ঝিনাইগাতীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তি ইমেজ ক্ষুন্ন করে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকালে উপজেলার বাকাকুড়া আদর্শ গ্রামে ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন ভুক্তভোগী মোল্লা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “কে এই মোল্লা সাইফুল, তার বিরুদ্ধে অবৈধ বালু ব্যবসাসহ পাহাড়ে গাছ কাটার অভিযোগ” শিরোনামে
গত ০২/০৯/২৪ইং তারিখে “দৈনিক খবর” পত্রিকার লগো ব্যবহার করে একটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। ওই সংবাদে মোল্লা সাইফুল ইসলামকে অবৈধ বালু-পাথর ব্যবসায়ী ও পাহাড়ের গাছ চোর হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
উক্ত সংবাদে মোল্লা সাইফুল ইসলামের ছবিসহ নানা অভিযোগ প্রকাশিত হয়, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “রেজাউল করিম” নামক এক ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করা হয়েছে।
মোল্লা সাইফুল ইসলামও নুরুজ্জামান বলেন গত কয়েকদিন পূর্বে হারুন অর রশীদ দুদু মানে জনৈক সাংবাদিক মোবাইল ফোনে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তার দাবি অনুযায়ী চাঁদা না পেয়ে তিনি ফটোশপের মাধ্যমে পত্রিকার লগো ব্যবহার করে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেছেন। ওই দিনের দৈনিক খবর পত্রিকায় এ ধরনের কোন সংবাদই ছাপা হয়নি। হারুন অর রশীদ দুদুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, “আমি কোনো অবৈধ বালু-পাথর ব্যবসার সাথে জড়িত নই, বরং আমি একজন ট্রলিগাড়ি ব্যবসায়ী। আমার দুইটি ট্রলিগাড়ি রয়েছে, যা দিয়ে আমি বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করে থাকি।”
তিনি আরও জানান, “আমি কখনো কোনো সাংবাদিকের কাছে এ ধরনের বক্তব্য দেইনি। রেজাউল করিম নামে কোনো সাংবাদিক ঝিনাইগাতীতে আছে কি না, তাও আমার জানা নেই। তাই উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং আমার মানহানিকর।”
মোল্লা সাইফুল ইসলাম উক্ত সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “আমি তথাকথিত সাংবাদিক রেজাউল করিমের নামে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। রেজাউল করিমের প্রকৃত পরিচয় জানাতে তিনি সাংবাদিকদের সহায়তা চান”একজন প্রকৃত ব্যবসায়ী হিসেবে সৎপথে জীবিকা নির্বাহ করায় তার সুনাম নষ্ট করতেই এ অপপ্রচার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরকে সুবিধাভোগী এবং ভোরের কাগজের শেরপুর প্রতিনিধি খোরশেদ আলমকে বালু ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে উক্ত প্রতারণা করা হয়।