পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী বলায় সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী (পরে খাদ্যমন্ত্রী) কামরুল ইসলাম ও দৈনিক করতোয়া পত্রিকার সম্পাদক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালত চত্বরে সিনিয়র আইনজীবী আদম সুফি এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, পঞ্চগড় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গতকাল রবিবার কামরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস শেখ। মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক জাহিদ হাসান।
মামলার বাদী ইউনুস শেখের অভিযোগ, ২০১০ সালের ২১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব কবিতা কণ্ঠ পরিষদের এক সভায় তৎকালীন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে অশালীন, কুরুচি সম্পন্ন ও মানহানিকর কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী আদম সুফি বলেন, ২০১০ সালের ২১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব কবিতা কণ্ঠ পরিষদের এক অনুষ্ঠানে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী বলেন। তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার ও স্বাধীনতার ঘোষক। বাদী এই কথা আজও ভুলতে পারেননি। তখনই তিনি আইনের আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে পারেননি। এ জন্য এখন মামলা করেছেন। খবরটি করতোয়া পত্রিকায় ছাপা হওয়ায় পত্রিকার সম্পাদককে মামলার আসামী করা হয়। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
বাদী ইউনুস শেখ বলেন, কী কারণে তিনি এমন কথা বলেছেন, এটা জানতে এবং আইনের আশ্রয় নিতে তখন চেষ্টা করেও পারিনি। এখন সুযোগ এসেছে বলে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ছিলেন কি না-এটা আমি আদালতের কাছে জানতে চেয়েছি।