অনলাইন ডেস্ক।।
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত এর মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের শোক প্রকাশ।
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী, সাবেক মাননীয় সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত ২৯ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ঃ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু আজ এক বিবৃতিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। নেতৃদ্বয় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশের অন্যতম এই সূর্য্য সন্তান গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৯ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন এবং সেখানে করোনামুক্ত হয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। তখন থেকে তিনি শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েন। চলতি বছরের মার্চ মাসে ফের অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
১৯৩৪ সালে সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের নেতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজের দ্বিতীয় পুত্র মুহিত। তার মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরীও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স করার পর অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ডে উচ্চশিক্ষা নেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেয়ার পর তখনকার পাকিস্তান এবং পরে স্বাধীন বাংলাদেশে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই রাখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোট ১১ বার ও টানা নয় বার বাংলাদেশের বাজেট ঘোষণা করার রেকর্ড রয়েছে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিতের।