অনলাইন ডেস্ক◊◊
জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমস প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ জিতলো মাগুরা জেলার ইমনা খাতুন
অসম্ভব শব্দটি বোকাদের ডিকশনারিতে লেখা থাকে সেই প্রবাদ বাক্যটি সত্য প্রমাণ করেছেন মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার পুলুম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের ছাত্রী ইমনা খাতুন। জার্মানির বার্লিনে (১৯-২৫ জুন, ২০২৩) অনুষ্ঠিত ১৬তম স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমসে ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট দৌড় প্রতিযোগিতায় মর্যাদাপূর্ণ স্বর্ন পদক জিতে নিয়েছেন তিনি।
প্রবল ইচ্ছা শক্তি,পিতা-মাতার সহযোগিতা ও পুলুম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের আন্তরিক চেষ্টায় ইমনা তাঁর বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতা জনিত সমস্যা অতিক্রম করে দেশের জন্য বিরল এই সাফল্য বয়ে এনেছেন। তার এমন সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী, সামাজিক সংগঠন ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ।
ইমনা খাতুন মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার ৭ নং গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের বাশারুল বিশ্বাস ও শাহানারা খাতুনের ৫ সন্তানের মধ্যে তৃতীয়, তাঁর একমাত্র ভাইয়েরও বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতা রয়েছে।
ইমনা খাতুন বলেন, আমার এমন সাফল্যের পিছনে আমার বাবা-মা, স্কুল শিক্ষক, ও স্পেশাল অলিম্পিক বাংলাদেশ দলের কর্মকর্তা ও কোচদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আমি সবার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং আগামীতে দেশের জন্য আরও সাফল্য বয়ে আনতে সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, অনেকে আমার মতো স্বর্ণ জয় করেছে। আমরা সবাই দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে চাই। আমাদের প্রতিবন্ধীদের উৎসাহিত করতে হবে। সবার মতো আমাদেরও স্বপ্ন আছে। সে স্বপ্ন পূরণে সবাইকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।
পুলুম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরমোহাম্মাদ সুমন বলেন, ইমনা খাতুন আমাদের সকলের প্রিয় একজন শিক্ষার্থী। সে ছোট বেলা থেকেই অনেক আত্মবিশ্বাসী ও পরিশ্রমী ছিলো যা আজ তার সফলতার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করতে পেরেছে। আমি তার উত্তরোত্তর উন্নতি ও সফলতা কামনা করছি। প্রতিবন্ধকতা কখনোই সাফল্যকে আটকে দিতে পারে না। প্রতিবন্ধীরা বোঝা নয়, সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা পেলে ওরাও বদলে দিতে পারে সমাজ, সংসার ও পরিবার। সমাজের মানুষের শুভ দৃষ্টি ও রাষ্ট্রের সামান্য সহযোগিতা পেলে অন্য দশজন সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের মত তারাও দেশ জাতি গঠনে ভুমিকা রাখতে পারে।
Tags: সাফল্যের