আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পার্শ্ববর্তী সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউপি’র রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামে গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে বসতবাড়ির গোয়াল ঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা অগ্নি সংযোগ করেছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামের রবিউল মন্ডলের ছেলে জামিরুল ইসলাম ঘটনার রাতে বাড়িতে না থাকার সুবাদে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা জামিরুলের গোয়াল ঘরে অগ্নি সংযোগ এর ঘটনা ঘটায়।
গত বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে আগুনের লেলিহান শিখা তীব্রতর হলে গ্রামবাসী ছুটে এসে চার-পাঁচটি মটরের সাহায্যে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির সাথে তাদের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারা আরো জানায় গত কয়েকদিন পূর্বে জামিরুলের ভাই আজাদুলের কবলা খরিদকৃত জমি হতে প্রায় ৪০টি গাছ কর্তন করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। এবং তারা বাড়িঘর ভাঙচুর করে পরিবারটিকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করে। তারপরও ওই পরিবারটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পেরে বসতবাড়ি ভাঙচুর উচ্ছেদ এবং নার্সারির গাছ কর্তন করা হয়েছে মর্মে অভিযোগে প্রকাশ।
আরো জানাগেছে,রবিয়াল মন্ডলের ছেলে আজাদুল ইসলাম বিগত ৬/১২/২০১৬ ইং তারিখে ৬৫৯৬ নম্বর কবলা দলিল মুলে এবং ১/৪/২০১৯ তারিখে ১৮৫৯ নম্বর কবলা দলিল মূলে ১৬ শতক জমি আসামিদের অংশীদার মমতাজ বেগমের নিকট হতে মোট ২৮ শতক জমি খরিদ করে বসতবাড়ি নির্মাণ করে এবং নার্সারির ব্যবসা করে আসছিল। ফলে মজনু মিয়া ও তার স্ত্রী গং-রা সহ্য করতে না পেরে ভুক্তভোগী পরিবার আজাদলের ওপর হামলা বাড়িঘর ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটায় ।
এ ব্যাপারে আজাদুল ইসলাম বাদী হয়ে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর আমলি আদালতে ২৮০/ ২০২১ একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের হওয়ার পর হতে মজনু গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে মজনুর স্ত্রী রেনু বেগমকে বাদী করে ৫৪১/ ২১ একটি হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উভয়পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষের প্রতি আদেশ জারি করেন। মজনু গং-রা আজাদুলদের হেনস্থা করতে মারামারির অভিযোগে সম্প্রতি সাদুল্লাপুর থানায় একটি জিআর মামলা দায়ের যার জিআর নং ৬৭/২৩। উক্ত মামলার আসামি হয়ে আজাদুল গং-রা পলাতক জীবন যাপন করাকালীন এ আজাদুলের বাগানের চল্লিশটি গাছ কর্তন এবং বসতবাড়ি উচ্ছেদ করে ফেলে এই ঘটনার ৪ দিনের মাথায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে আজাদুল বাদী হয়ে গাইবান্ধার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৭ /১১৭ (৩)ধারায় একটি মামলা দায়ের করে ।
বর্তমানে গাছ কর্তন বসতবাড়ি ভাঙচুর করে উচ্ছেদ এবং অগ্নি সংযোগের বিষয়ে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আজাদুলের পরিবার বর্গ।