স্টাফ রিপোর্টার,গাইবান্ধা◊◊
বিগত অন্যান্য বছরের ন্যায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের রোযার সাথে সামঞ্জস্য ও সঙ্গতি রেখে এবারো
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী এবং সাদুল্লাপুরের বেশ কয়েকটি গ্রামে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উদযাপান।
গত বছরগুলোর ন্যায় একদিন আগে রোবরার (৩০ মার্চ) সৌদি আরব ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় এবং পরদিন সোমবার (৩১শে মার্চ) বাংলাদেশসহ পাশ্ববর্তী অন্যান্য দেশে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উদযাপন হবে।
রোববার এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় জেলার সহিহ হাদিস সম্প্রদায়ের মুসলিম উপজেলার ৮নং মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের মধ্যপাড়া ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে মুসুল্লিরা ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করেন।
এতে ইমামতি ও খুৎবা পাঠ করেন হাফেজ মোহাম্মদ ওমর ফারুক।ভোর হবার সাথে সাথেই গাইবান্ধা সদর,পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সৌদি অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা তালুক ঘোড়াবান্ধার মধ্যপাড়া ঈদগাহ মাঠে সমবেত হতে থাকেন। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠান ভবনের একই ছাদে দুরত্ব বজায় রেখে পুরুষের পাশাপাশি ১০-/১২ জন নারী ও শিশুসহ অন্ততঃ ৩০/৪০ জন মুসুল্লি নামাজ আদায় করেন।
ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নারী-পুরুষ মুসুল্লিরা পৃথক চত্বরে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেন। তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের মুসা মিয়া (১৯) ও সোলায়মানসহ (৪৫)অনেক মুসুল্লিই বলেন,১০ বছরের বেশি সময়ের ধারাবাহিকতায় আজ ভোরেও এখানে একত্রিত হয়ে আমরা একসাথে নামায আদায় সম্পন্ন করেছি। মোস্তফা বলেন, আমাদের গ্রামের অন্ততঃ ১০টি পরিবার এভাবে মিল রেখে রোযা ও ঈদ উদযাপন করে আসছি। জেলা সদর উপজেলার তিন গাছতলার শাকিল (৩২) বলেন,আমি ও আমার পরিবারও একইসাথে নামায আদায় করে থাকি।
এদিকে,একদিন আগে ঈদ উদযাপনে সম্ভাব্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশেষ নজরদারি ছাড়াও বাড়তি নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মুসুল্লিরা এসময় সারাবিশ্বের মুসলিমদের একইসাথে রোযা ও ঈদ উদযাপনের আহবান জানান।
শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ,উন্নয়ন ও সার্বিক অগ্রগতিসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।।