নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
তারা বলেন, একুশে পদকে ভূষিত রাহাত খান বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কথাশিল্পী। ছোটগল্প ও উপন্যাস এই উভয় শাখাতেই তার অবদান উল্লেখযোগ্য। সাংবাদিক হিসাবেও তিনি ছিলেন অনুকরনীয় ও অনুস্মরনীয়। দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় তিনি ষাটের দশক থেকে কর্মরত। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিখ্যাত সিরিজ মাসুদ রানার রাহাত খান চরিত্রটি তার অনুসরণেই তৈরি করা।
নেতৃদ্বয় বলেন, যুগে যুগে অসাধারণ ও কালজয়ী সব লেখক এসে আমাদের কথাসাহিত্যে নতুন নতুন ধারা যোগ করেছেন বা করছেন। সমৃদ্ধ এই বাংলা কথাসাহিত্যকে তারা নিয়ে গেছেন সুবিশাল উচ্চতায়। তেমনই একজন হলেন রাহাত খান।
উল্লেখ্য, রাহাত খান ১৯ ডিসেম্বর ১৯৪০ সালে কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষা জীবন শেষ করে খান ময়মনসিংহ জেলার নাসিরাবাদ কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় দৈনিক বর্তমান।
রাহাত খান বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কথাশিল্পী। ছোটগল্প ও উপন্যাস- উভয় শাখাতেই তার দক্ষতা । ১৯৭২ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ অনিশ্চিত লোকালয় প্রকাশিত হয়। তার পরবর্তী উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থে’র মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অমল ধবল চাকরি, ছায়াদম্পতি, শহর, হে শূন্যতা, হে অনন্তের পাখি, মধ্য মাঠের খোলোয়াড়, এক প্রিয়দর্শিনী, মন্ত্রিসভার পতন, দুই নারী, কোলাহল ইত্যাদি।