নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ার জেলেপল্লীতে হামলা দুর্বৃত্তদের হামলা, ভাঙচুর, লুট ও অগ্নিসংযোগে প্রায় ৩০টির বেশি ঘর পুড়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে ঘটনার সাথে জড়িতেদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও আইনের আওয়াতায় আনার দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধবাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান। সোমবার (১৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান। নেতৃদ্বয় বলেন, কুমিল্লায় কোরআন অবমাননা করার অজুহাতে পূঁজা মন্ডপে হামলা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ার জেলেপল্লীতে হামলা করা হয়েছে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে মন্ডপে হামলা, ভাংচুর ও সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, হাতিয়ায় এবং বাঁশখালীসহ সারা দেশেই এবং বান্দরবানসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে যা পূর্ব পরিকল্পিত ও অসুস্থ রাজনীতির নগ্ন বিহ:প্রকাশ। তারা বলেন, বংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খৃষ্টান সব ধর্মের ও জাতির মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। আর এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করতেই এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত চলছে। যে চক্রান্ত জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে। নেতৃদ্বয় বলেন, অতীতেও রামু, নাসিরনগর, পাবনার সাথিয়া, বাঁশখালী, গোবিন্দগঞ্জ, রংপুর, সুনামগঞ্জের শাল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে ও নানা মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় ও জাতিগত নিপীড়ন ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তাদের দলীয় লোকজনই প্রধানত এসব সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িত ও নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। যার ফলে কোন ঘটনারই এখন পর্যন্ত বিচার হয়নি। ফলে শাসকদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়েই দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটছে। তারা আরো বলেন, দেশের কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটলেই সরকার ও বিরোধী দলগুলো মূল ঘটনার দিকে ফোকাস না করে পরস্পরের বিরুদ্ধে দোষারোপের রাজনীতি শুরু করে দেয়। এতে করে মূল ঘটনা অন্ধকারেই থেকে যায়। কিন্তু, দু:খজনক হলেও সত্য যে, এ ধরনের ঘটনার পরপরই আমাদের রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা একে অপরকে দোষারোপ করে যে বক্তব্য দেয় এতে করে মূল ঘটনা অন্তরালেই থেকে যায়। আমরা দীর্ঘদিন দেখে আসছি বাংলাদেশে এই অপসংস্কৃতিক এবং অপচর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে ‘সবার উর্ধ্বে দেশ’। তারা একই সাথে ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও শাসকশ্রেণির সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সকল প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল-ব্যক্তি-গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান।