পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন পরিবেশ বিপর্যয় রোধে জনসচেতনতা তৈরি নিয়মিত কাজ করছে। আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল আদায় ও দেশের পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিবেশ বিষয়ক গান “সবুজ আন্দোলন” একুশে বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে “লাল সংকেতে জলবায়ু” বই। সাংগঠনিক কাঠামোকে মজবুত করার জন্য গঠনতন্ত্রের আলোকে গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার এবং মহাসচিব মহসিন সিকদার পাভেল কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদে নতুন ৪ জনকে পদায়ন করেন।
শেরপুর জেলার আহ্বায়ক ও জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ও জেলার সদস্য সচিব বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজাদ ইসলামকে চট্টগ্রাম বিভাগের সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক, মাগুরা জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও জেলার সদস্য সচিব সাংবাদিক এইচ. এন. কামরুল ইসলামকে খুলনা বিভাগের সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পটুয়াখালী জেলা সমন্বয়কারী জাহিদ শিকদারকে বরিশাল বিভাগের সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
বাপ্পি সরদার বলেন, যাদেরকে নতুন করে পদায়ন করা হলো প্রত্যেকেই পরীক্ষিত এবং দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের সাথে জড়িত। আশা করি যে সকল জেলা কমিটি গুলো এখনো গঠিত হয়নি বিভাগীয় ভাবে খুব দ্রুত জেলা কমিটি গঠন সম্পন্ন হবে। পাশাপাশি প্রত্যেক জেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, পরিবেশ বিষয়ক প্রশিক্ষণ আয়োজন, নারী ও শিশুদের অধিকার বাস্তবায়ন এবং প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ বিষয়ক ক্যাম্পেইন আয়োজন করবে।
মহাসচিব বলেন, আমরা চাই সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য কাজ করতে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অবশ্যই প্রত্যাশা রয়েছে নতুন করে যারা পদে আসলেন। সাম্প্রতিক সময়ে বায়ু দূষণ, অবৈধ ইটভাটা যার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে বৃক্ষ কর্তন করা হচ্ছে এবং কৃষি জমির মাটি নিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে যা পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ এই বিষয়ে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলবে। বিভাগীয় জেলার প্রত্যেক নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সবুজ আন্দোলনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিবে সেই প্রত্যাশা করি।
নতুন সদস্যদেরকে পরিচালনা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল সদস্য শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।