চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল আদায় ও পরিবেশ বিপর্যয় সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে। ইতিমধ্যে সংগঠনটি সারা বাংলাদেশে সাংগঠনিকভাবে কার্যক্রম পরিচালিত করছে। আজ ২৫ অক্টোবর সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রামের এশিয়ান এজ এস আর হোটেলে “চট্টগ্রামের পরিবেশ বিপর্যয় রোধে করণীয় ও পরিবেশ বিষয়ক কর্মশালা” আয়োজন করে। সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে জুমে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মুহম্মদ জসীম উদ্দিন। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন রুপা, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদ, ইকো ফ্রেন্ডস’র চেয়ারম্যান উত্তম কুমার আর্চারী, সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহজ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, সহ—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সবুজ আন্দোলনের এই কর্মশালা সময় উপযোগী এবং আশা করি পরিবেশ বিপর্যয় সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রামের সিআরবি রক্ষায় সবুজ আন্দোলন চট্টগ্রামের জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
প্রধান প্রশিক্ষক প্রফেসর ড. জসীম উদ্দিন বলেন, কার্বন নিঃসরণ ও মিথেন গ্যাসের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব এখন দৃশ্যমান। উন্নত রাষ্ট্রগুলো কার্বন নিঃসরণ বন্ধ না করলে বাংলাদেশকে এর সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হবে। আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল আদায়ের জন্য সবুজ আন্দোলন যে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে অবশ্যই আমরা এর পাশে থাকবো।
প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে ১০ হাজার ব্যক্তিকে বিনামূল্যে সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে পরিবেশ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ চট্টগ্রামের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাত্রা শুরু হলো। পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড় কাটা বন্ধ, প্লাস্টিক ও জাহাজ কাটা শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নজরদারির আহ্বান জানান।
সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সদস্য সচিব স্থপতি শহিদুল ইসলাম,সবুজ আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সহ—সভাপতি নূরুল কবীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফোরকান রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম ফাইসাল, মাহিম পারভেজ, সাদ্দাম হোসেন, সহ—প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদ আলম,সহ প্রচার সম্পাদক আজাদুর রহমান, সহ—শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা তাসলিমা আক্তার নিশা, সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক রক্সি আক্তার, নির্বাহী সদস্য মাহফুজুর রহমানও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগরের প্রচার সম্পাদক তসলিম হাসান হৃদয় ও উত্তর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শিলা।