রাজিবুল হাসান,ঢাকা♦
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ
“সেপ্টেম্বর ২০২২” বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক মাস ঘোষণা কালে এ কথা বলেন গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু’র সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ জাতীয় পরিষদের এক কার্যকরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যা ৭টায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি অবহিত করেন।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু’র স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একাত্তরের পরাজিত শত্রু ৭৫’র ঘাতক, ২১ আগস্টের খুনি, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলাকারী, উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গী গোষ্ঠী ও ১৫ আগস্টের ভূয়া জন্মদিন পালনকারীরা এক ও অভিন্ন।
বিএনপি জামাত সহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি চক্রের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ২০০৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে বাংলার জনগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে। শুরু হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দিন বদলের সনদ।
বাস্তবায়নের ঐতিহাসিক উন্নয়ন যাত্রা। দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনায় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা তথা এসডিজি অর্জন, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ ও সর্বোপরি ব-দ্বীপ পরিকল্পনা তথা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ আজ বিশ্বাস করে যত দিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কন্টকময় দুর্গম পথে মোট ২১ বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন বাঙালির আশা ভরসার শেষ আশ্রয় জননেত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মত সর্বস্ব হারানো ত্যাগী ও পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ বিশ্বের ইতিহাসে দ্বিতীয় কোন উপমা খুঁজে পাওয়া যায় না।
১৫ আগস্টের মত নির্মমতা আমরা ঠেকাতে পারি নি সত্য কিন্তু আর কোন সন্ত্রাস ষড়যন্ত্র যেন প্রিয়নেত্রীর জীবনকে বিপন্ন করতে না পারে প্রাথমিকভাবে সেটাই বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্দেশ্য।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বৈশ্বিক করোনা মহামারীর শুরু থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভয়কে জয় করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সারা দেশে মাইকিং, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, ফ্রি টেলিহেলথ সার্ভিস “কল সেন্টার” (০৯৬১১৯৯৯৭৭৭) চালু, করোনা রোগী ও লাশ পরিবহনের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স ও সিএনজি সার্ভিস। করোনায় মৃত লাশের গোসল, জানাযা ও সৎকার, ফ্রি অক্সিজেন সার্ভিস, দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দেওয়া, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন বুথ চালু, বিভিন্ন স্থানে করোনা প্রতিরোধক বুথ স্থাপন, শীত বস্ত্র বিতরণ, রমজানে ইফতার ও সেহেরি বিতরণ, ঈদ ও পূজায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ সহ বিভিন্ন মানবিক কাজে অংশ নিয়ে সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি করেছে।
অশুভ অপশক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে সারাদেশে গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের অশুভ অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, জাতীয় পরিষদ, জেলা ও মহানগরের সমন্বয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষে মাসব্যাপী সাংগঠনিক কর্মসূচি ঘোষণা করছে।
প্রথম ধাপে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের আওতাধীন ১২৯টি ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, জাতীয় পরিষদের নেতৃবৃন্দকে মহানগরের নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করে সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ জেলায় ১০৫টি উপজেলা ও উহার অধীনস্থ থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির সমন্বয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে অন্যান্য জেলা, উপজেলায় পর্যায়ক্রমে অনুরূপভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দকে অবশ্যই বর্ণিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
লাখো শহীদদের রক্তার্জিত স্বাধীনতার আর্দশ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি আস্থাশীল হয়ে বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন সন্ত্রাস, দূর্নীতি, দারিদ্র, নিরক্ষরতা ও শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গঠনকল্পে বাংলাদশের বাতিঘর, আমাদের বাতিঘর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা’র হাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
দূর্যোগ দূর্বিপাকে বিপন্ন আর্তমানবতার সেবায় সর্বদা নিয়োজিত জাগ্রত পদাতিক, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী বিএনপি জামাত উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অশুভ অপতৎপরতা রুখে দিতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে নিয়োজিত থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সভার সমাপ্তি ঘোষণা করার সময় সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বলেন, আমরা আন্দোলনও করতে জানি! আন্দোলন প্রতিহতও করতে জানি! সাংগঠনিক ক্ষমতা দিয়ে রাজনৈতিক ভাবে রাজপথে সকল অশুভ অপশক্তি মোকাবেলা করা হবে।
সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, আমাদের সংগঠন সেবা ধর্মী সংগঠন। মানবিক কাজের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংগঠনের প্রশংসা করেছেন। ছাত্রলীগ হলো নেতাকর্মী তৈরীর কারখানা আর স্বেচ্ছাসেবক লীগ হলো সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের ঠিকানা।