নিজস্ব প্রতিবেদক:
সম্প্রতি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন কেটে নিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আক্তার। জানা যায়, শোক দিবস পালনের জন্য তার অর্থের প্রয়োজন ছিলো যার কারণে তিনি অফিস স্টাফদের জিম্মি করে বেতন কেটে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছেন। অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের, এক দিনের বেতন কেটে রোষানলে পড়তে হয়েছে তাকে জবাবদিহি করতে হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরে। এছাড়া জোরপূর্বক অফিস স্টাফদের বেতন কেটে রাখাই বিক্ষুব্ধ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তথ্য মতে, গেল ১১ আগস্টে ইস্যু করা গণপূর্ত অধিদপ্তরের একটি চিঠি থেকে দেখা যায়, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী পদমর্যাদার ১২ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় শোক দিবস পালনের অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটি বেতন থেকে টাকা কেটে রাখার বিষয়টি তদারকি করেন। আর এই কার্যক্রমের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.শহিদুল আলমকে। ১১ আগস্ট অনুষ্ঠিত ওই কমিটির সভা থেকে জানানো হয়, ওই কমিটি গণপূর্তের বিভাগগুলো ছাড়া সব জোন, সার্কেল ও প্রধান প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ১ দিনের বেতন সংগ্রহ করবে এবং সামগ্রিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে। যদিও, গত ১১ জুলাই মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আক্তারকে জাতীয় শোক দিবস পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য মতে জানা গেছে, শোক দিবসের এ উদযাপনে কোনো ধরনের অর্থ সংগ্রহ এবং সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন না কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেন গণপূর্তের কর্মকর্তারা। কিন্তু এর পরও তিনি সরকারি আদেশ না মেনে নিজের ইচ্ছায় অফিস স্টাফ ও কর্মকর্তাদের একদিনের বেতন কেটে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছেন। এক দিনের বেতন কেটে নেওয়ার কারণে নানা নানা সমালোচনার মুখে পড়েছেন সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী শামীম আক্তার। তার প্রতি অফিস স্টাফ ও কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়ক ও সংস্থাটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি একটি মাধ্যমে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। তবে এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আক্তার বলেছেন, অনেকে নিজ উদ্যোগেই শোক দিবসের আয়োজনে অংশ নিতে কিছুটা অর্থ প্রদান করেছেন (কন্ট্রিবিউট) করেছেন। অফিস স্টাফরা বলেছেন আমাদের জোরপূর্বক কন্ট্রিবিউট করতে বাধ্য করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করেছি মিটিং করেছি এরপর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে কাউকে জোর করা হয়নি। তিনি বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য কিছু দুষ্ট মানুষ হয়তো নিজের ইচ্ছায় এটি বলছে। প্রচলিত নিয়মে এভাবে বেতন কাটার কোনো সুযোগ নেই। সবাই বেতন পেয়েছে। এ সময় ১২ সদস্যের অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিষয় নিয়ে নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরাসরি কথা বলতে পারলে হয়তো এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া যাবে। তিনি বলেন, সর্বশেষ আমার কথা হচ্ছে হেড অফিস থেকে কোন চিঠি অফিশিয়াল স্টাফদের দেওয়া হয়নি। কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি বলতে চাই জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে কারো কাছে জোরপূর্বক কোন টাকা নেওয়া হয়নি। যে যার মত পেরেছে সবাই অংশগ্রহণ করেছে।