বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক হাসান এ সব কথা বলেন। শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিনসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে ফারুক হাসান বলেন, এই লড়াই-সংগ্রাম ছিল আপামোর জনগণের, একক কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের না। ছাত্র, জনগণ এবং রাজনৈতিক দল সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই সংগ্রাম চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে; শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হন। তাই বলবো, রাজনৈতিক দল কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের খাটো করে কেউ কোনো বক্তব্য দেবেন না। বৈষম্যহীন আগামীর কাঙ্খিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবারই দরকার রয়েছে। অন্তর্র্বতী সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকার এসেছে। এই সরকারের পাশে আমরা রয়েছি, দেশের জনগণ রয়েছে। সুতরাং এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। অন্তর্র্বতী সরকার ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রকামী জনগণও ব্যর্থ হবে। গণঅধিকার পরিষদের একাংশের এই সদস্য সচিব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ভারতকে বলব, অবিলম্বে এই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন। অন্যথায় আমাদের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবিও এর উপযুক্ত জবাব দিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক, বিপ্লব হোসেন, কামরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম শুভ, সৈকত প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে সাইদুর রহমান বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি, তাদের সহযোগী এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা লুটপাট করে দেশ থেকে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী অবিলম্বে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে।