নিজস্ব সংবাদদাতা।।
অল্প বয়সী কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়াতে সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নাটোরে শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া খুবজিপুর এম হক ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে শহরের বলারীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করা হয়েছে। শিক্ষিকা খাইরুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। অন্যদিকে, স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
নিহতের স্বামী নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন হোসেন বলেন, ভোরে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য তিনি তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে বাড়ির বাহিরে যান। পথে জরুরি কথা বলার জন্য স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল দেন। কিন্তু কলটি স্ত্রী খায়রুন নাহার রিসিভ করেনি। পরে তিনি স্ত্রীকে আরো কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল করেন। এতেও ফোন রিসিভ না হলে স্বামী মামুন বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর দরজা খুলে ঘরে গিয়ে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে অন্য ঘরে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে। পরে গ্যাস লাইট দিয়ে ওড়না পুড়িয়ে তার স্ত্রীকে নিচে নামিয়ে বাড়ির কেয়ারটেকারকে ডাক দেন। এরপর পুলিশকে জানানো হয়।
নাটোর পুলিশ তদন্ত ব্যুরোর পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত হলে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা কি! এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মামুন হেসেনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।