নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন গ্রহণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত প্রণোদনার অর্থ প্রদানের দাবি জানিয়েছে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদ।
৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আজ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান ‘নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক শরীফুজ্জামান আগা খান।
বিবৃতিতে শরীফুজ্জামান আগা খান বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া বলা হলেও গতবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি। ২০২১ সালের মার্চে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর দীর্ঘ ৫ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো এমপিওভুক্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। আমরা দীর্ঘ ১৫-২৫ বছর এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় আছি। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি খাতে বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও এই অযাচিত বিলম্বে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অনেক শিক্ষক-কর্মচারি নন-এমপিও অবস্থায় একবুক দুঃখ-কষ্ট এবং হতাশা নিয়ে অবসরে গেছেন। আমরা এই অমানবিক পরিস্থিতির অবসান চাই।”
তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে আমরা করোনাকালীন কঠিন পরিস্থিতির ভিতর আছি। দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। করোনা উত্তরকালে একটি বড় সংখ্যক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানমুখী করা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসাবে হাজির হবে। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান দুর্বল বিধায় তাদের জন্য এই চ্যালেঞ্জ হবে আরো কঠিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু না হলে এই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মনোবল ধরে রাখা সম্ভব হবে না। এ রকম দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বাভাবিক শিক্ষা কাযক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। অতিসত্ত্বর এমপিওভুক্তির আবেদন গ্রহণ করা না হলে অগত্যা এ মাসেই আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
শরীফুজ্জামান আগা খান বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে করোনাকালে দু দফায় প্রণোদনার অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। শিক্ষকদের জন্য ৫ হাজার এবং কর্মচারীদের জন্য আড়াই হাজার টাকা। দ্বিতীয় দফায় ঈদের আগে এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৭৫ কোটি টাকা। স্ব স্ব মোবাইলে বিকাশ কিংবা নগদ একাউন্টে এই অর্থ পৌছে যাবার কথা। দুঃখের বিষয়, কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দু’একজন করে এই প্রণোদনার অর্থ পেলেও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো এই অর্থ পাননি। সম্প্রতি ফেসবুকে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পেজে পরিচালিত এক জরীপে দেখা যায়, শতকরা ৯০ ভাগের অধিক শিক্ষক-কর্মচারী প্রণোদনার অর্থ বঞ্চিত রয়েছেন। এমনকি প্রথমবারে বরাদ্দকৃত অর্থও কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো পাননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রদেয় অর্থ প্রাপ্তিতে কেন এই বিলম্ব তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে সত্ত্বর এই অর্থ ছাড়ের অনুরোধ করছি।