|| নিরব যুদ্ধ ||
শহরটা আজ কথা বলে না!
থেমে গেছে তার সব কোলাহল।
ব্যস্ত সকলের ব্যস্ততা আজ ঐ চারদেয়ালে বন্দি।
আজ শহরে যানজট নেই
নেই ফুটপাতে মানুষের ঢল
ওভারব্রীজগুলিও ফাঁকা
ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ততা কেড়ে নিয়েছে ওই ভয়ানক করোনা।
পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে এক নিমিষেই বন্দি করেছে সে;
কি ক্ষমতা তার!
আজ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বন্দিশালার নাম করোনা।
নিশ্চয়তা নেই আজ তব জীবনের
রাতে ঘুমানোর আগে ভাবিয়ে তুলে,
সকালে জেগে উঠা হবেতো?
নাকি আর ভোরের দেখা মিলবে না?
সমস্ত পৃথিবী জুড়ে অনিশ্চয়তা,
এক অজানা ভীতি!
এই বুঝি এলো!
এই বুঝি গেলো!
তবু ঘুম ভাঙ্গেনিকো এখনো!
এখনো গাঁয়ের বাজার কিংবা চায়ের টং দোকানে
দিব্যি আড্ডা চলছে।
আর চলছে
চুমুকে চুমুকে জীবানু বিনিময়।
অন্যের ঠোঁটের সিগারেটেও ভাগ বসাতে দেখা গিয়েছে
গাঁয়ের বখাটে ছেলেটাকে!
যুদ্ধ চলছে!
নীরব ঘাতকের বিরুদ্ধে নীরব যুদ্ধ!
ডাক্তারবাবু সম্মুখ যোদ্ধার বেশে
গেরিলা যোদ্ধাও অনেক বটে।
তবে এবার রাজাকার বেশে তারাই এসেছে
যারা মানে না সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি
আর স্যানিটাইজেশন।
ওরা নষ্ট, ওরা ধ্বংস, মহাপ্রলয়ের ওরাই কারন।
ওই কূপমন্ডুকেরাই আজ
ট্রাকের উপর ড্রামে করে শহর পাড়ি দেয়
নিঃশ্বাস ভর্তি জীবানু নিয়ে
গ্রামের লোকেদের দিবে বলে।
লকডাউন ঘোষণার পর
এই রাজাকারেরাই কমলাপুরে জমাট বেঁধেছিলো
তাদের অস্ত্র বিনিময়ের জন্য।
বিনিময় শেষে ওরা গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে গিয়েছে
এক বিষাক্ত অস্ত্র নিয়ে
গ্রামটাকে মৃত্যুপুরী বানাবে বলে!
চিনতে পারিনা তাকে।
বিধাতা কৃপা করো
রক্ষা করো মোদের।
করুণা করো প্রকৃতি।
আমরা যারা এখনো মানুষ হতে পারিনি
মানু্ষ করো তাদের।
নিরব, নিস্তব্ধ রাত শেষে ভোরের আলোর অপেক্ষায়!
যুদ্ধ শেষে রক্তিম আলোর আভা এসে
আমাদের কপালে চুমু দিয়ে দিবে।
ভোরের সূর্যের আলোর চুমু খাওয়ার জন্য হলেও
জেগে উঠো হে ঘুমন্ত পথিক।
জেগে উঠো
এই শতাব্দীতে আমরা রাজাকার চাই না।
জেগে উঠো তুমি
পথিক হও আলোর পথের।
সারথি হও যুদ্ধ জয়ের।
|| আমিতো শুধু বদলা নিতে এসেছি ||
এত শত গান, কবিতা আর আহাজারি
কোথায় ছিলো এতদিন!
পিঠের চামড়ায় চাবুকের আঘাত পেতে পেতে আজ আমি ক্লান্ত।
প্রতিশোধের নেশা মস্তভাবে চেপে ধরেছে আমায়।
আমার ফুসফুসে যখন আগুন দিয়েছো
কোথায় ছিলো তখন তোমার বিবেক!
আজ তোমার ফুসফুস নিয়ে তাই হলি খেলায় মত্ত হয়েছি আমি।
পার্থক্য শুধু – আগুন আর করোনায়।
আমি পৃথিবী;
আমার সমুদ্রকেও তুমি ছেড়ে কথা বলোনি;
পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষার কথা বলে
বারবার ক্ষতবিক্ষত করেছো তাকে;
ঝাজরা করে ফেলেছো তার বুক।
সমুদ্রের সৈকতও তোমাদের পায়ে পিষ্ঠ হয়েছে বারবার।
লতাপাতা পর্যন্ত বেড়ে উঠতে পারেনি।
তাইতো কচ্ছপ কিংবা লাল কাকড়া
সবাই মিলে হরতাল ডেকেছিলো সেখানে।
বাতাসে আমার বারুদের গন্ধ
কার্বনে কার্বনে ভরিয়ে ফেলেছো তাকে।
তোমার ছড়ানো উত্তাপে
আমার সাধের জমানো বরফ গলতে শুরু করেছে আজ।
কী ভেবেছো কী তুমি?
আমার মাটির ফসল খেয়ে
আমার বুকেই ছুরি চালাবে!
তোমার আস্ফালন দেখতে দেখতে
আজ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমার।
তোমাদের প্রতিটি পারমানবিক বোমা
আমাকে ভিতর থেকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে গেছে;
সে কথাটি ভেবে দেখেছো কখনো?
নিজের কথা ভেবে গুলি চালিয়েছো নিজেদেরই বুকে।
ফসলের জমি কিংবা
বিন্দু বিন্দু বালি দিয়ে আমার জমানো পাহাড়;
কোন কিছুরই রক্ষা নেই!
কেটে কেটে তোমরা বানিয়েছো দালান অট্রালিকা
কিংবা সমরাস্ত্রের কারখানা।
আমার স্রোতস্বিনী আজ অভিমানে কথা বলে না,
গলা চেপে ধরে হত্যা করেছো তাকে।
আমিতো আজ শুধু বদলা নিতে এসেছি।
আমাকে আজ কোন মানবতা দেখাতে বলো না।
আজি আমাকে আমি নতুন করে সাজাতে এসেছি।
নষ্ট সব কিছু ধ্বংস করতে এসেছি আমি
তোমাদের আস্ফালনের শেষ দেখবো বলে।
|| একটি সংখ্যা ||
ক্ষমা করো প্রিয়তমা,
তোমার লাশের পাশে আমি যেতে পারিনি!
ক্ষমা করো আমায়।
তোমার মৃত্যুতে স্তম্ভিত নয় আজ এই বিশ্ব-ভ্রম্মান্ড!
তোমার মৃত্যুতো কেবলই একটি সংখ্যা মাত্র।
ক্ষমা করো আমায়
তোমার শেষ বেলায় আমি চেয়েও পারিনি
তোমার নরম হাতদুটিতে আলতো করে ছুয়ে দিতে।
প্রিয়তমা
তুমি জানো?
তোমার ঠান্ডা শ্বাসকষ্ট গলাব্যাথা ও জ্বর হয়েছিলো যেদিন
সেদিনই ওরা তোমাকে ছিনতাই করে নিলো!
বড্ড কষ্ট হয়েছিলো সেদিন আমার;
সারা রাত ঢুকরে ঢুকরে কেঁদেছিলাম আমি।
আমার কান্নার সাক্ষী শুধু ঘরের বালিশ।
আমাকেও আজ ওরা আলাদা করে ফেলেছে!
বাবা মা ভাই বোন কেউ আজ পাশে নেই।
নিঃস্তব্ধ একটি ঘর,
মুখে আমার কী যেন একটা প্লাস্টিকের নল,
ভিতরে অক্সিজেন।
প্রিয়তমা
তোমার মনে আছে?
আমি একদিন বলেছিলাম
তোমাকে ছাড়া আমি থাকবোনা কোথাও;
কথা রাখতে চলেছি আমি।
নিঃশ্বাসে মোর ভয়ানক করোনা।
এত শত বন্ধু বান্ধবী কিংবা আত্মীয়স্বজন
কেউ নেই আজ পাশে!
দিনে বেলা চারেক ওই ডাক্তার বাবু আসে,
নেড়েচেড়ে দেখে।
কিন্তু ওই ডাক্তারবাবুও আজকাল কেন যেন মুখ দেখাতে লজ্জা পায়!
মুখে কী যেন একটা বাঁধা তার, চোখে বিশাল গগলস;
সাদা কাপড় দিয়ে আবৃত পুরো শরীর।
তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই।
এতগুলো বছর যাদের সাথে কাটিয়েছি,
তাদের যেখানে প্রস্থান ঘটেছে
সেখানে ওই অপরিচিত ডাক্তার বাবু এসেছে
আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে;
বিশ্বাসে তার আলোক মশাল।
কিন্তু আমার যে তাড়া!
প্রিয়তমা
আর বেশি দেরি নেই
তোমার মত আমারো একটি সংখ্যা হওয়ার।
শুধুমাত্র একটি সংখ্যা হওয়ার অপেক্ষায়!
|| আমাকে বেঁচে থাকতেই হবে ||
সকাল সন্ধ্যায় কার্জনের ঘাসের উপর দিয়ে
তোমার হাত ধরে হাঁটা এখনো বাকি!
তাইতো করোনার কাছে আঁকুতি রয়েছে বাঁচার।
আমাকে যে বেঁচে থাকতেই হবে।
স্বপন মামার চায়ের কাপে তুফান তুলবো আমি
তোমার ঠোঁটের কোণের লাজুক হাসি দেখতে দেখতে।
তোমার সাথে এখনো তিনশো ফিটের
পিঠা খাওয়া হয়ে উঠেনি আমার-
নানান রঙ এর বাহারি পিঠা।
তোমাকে নিয়ে মাওয়ার ইলিশ খাওয়া
কিংবা তিনশো ফিটের পিঠা খাওয়ার জন্য হলেও
আমাকে বেঁচে থাকতে হবে৷
শুনেছি মাওয়া যাওয়ার রাস্তাটাও আজ প্রশস্ত হয়েছে বেশ
তোমাকে নিয়ে ড্রাইভে যাবো সেখানে;
গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে আমি আর আমার পাশে তুমি
মাঝপথে অদল বদল হবে সীট।
আমাকেতো বেঁচে থাকতেই হবে।
লকডাউনের প্রথম ভাগে
তোমার বানানো পিঠার ছবি দেখেছি ফেসবুকে;
অজানা নাম তার;
দেখতে ঠিক যেন চিতই পিঠা;
তার স্বাদ নেয়ার জন্য হলেও আমাকে বেঁচে থাকতে হবে।
আমাকে বেঁচে থাকতে হবে তোমার সাথে দ্বিচক্রযান ভ্রমণের জন্য;
সকালবেলা যখন রাস্তায় গাড়ি থাকবে কম
ঠিক তখনি আমরা বাই-সাইকেলে চড়ে পুরো শহরটা পাড়ি দিয়ে দিবো একসাথে;
ফিরে এসে ধানসিঁড়ির খিচুড়ি খাবো দু’জনে।
আমারতো এখনো তোমার কালো কেশের গন্ধ নেয়া বাকি;
আমাকেতো বেঁচে থাকতেই হবে।
আসছে শীতে তোমার হাতের তালুতে ঘর্ষণে ঘর্ষণে
উত্তাপ ছড়ানোর জন্য হলেও
আমাকে বেঁচে থাকতে হবে৷
শহরে আমরা শালিক হবো, কোকিল হবো
আর হবো কবিতা।
দুজন হেঁটে হেঁটে সিল্করোড পাড়ি দিয়ে দিবো একসাথে।
দুর্যোগ পেরিয়ে একটি বিশুদ্ধ সকালে
তোমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
তোমার গিটারে ভালোবাসার শব্দ শোনার জন্য হলেও
আমাকে বেঁচে থাকতে হবে।
তুমি দেখে নিয়ো
বেঁচে থাকার লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েই আসবো আমি।
আমাকে যে বেঁচে থাকতেই হবে।
তোমাকে ভালোবাসবো বলে
সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি আর স্যানিটাইজেশন
সব দিক দিয়েই আমি সচেতন।
আমাকেতো বেঁচে থাকতেই হবে প্রিয়।
|| মহাকালের ভবিষ্যৎবাণী ||
একটি আয়নায় আজ
জীবন-মৃত্যু, রাষ্ট্র-প্রতিষ্ঠান, নৈতিকতা-সম্পর্ক
সব কিছুর প্রতিফলন!
আয়নার সামনে দাঁড়ালে আজি
শত-সহস্র বছরের মহামারীর ইতিহাস শুনি আমি।
কথা বলে উঠে সে।
বলে উঠে হলুদ জ্বরের কথা।
আজি ওই লুইসিয়ানা কিংবা স্বাধীন হাইতি,
সবইতো সেই মহামারীর ইতিহাসের সাক্ষী।
কালো দাসেরা আজও আয়নার কাঁচের প্রতিটি ইঞ্চিতে বিদ্রোহের কথা বলে;
তুসো ল্যুভার্চার আজও সেই সুযোগ নেয়ার পায়তারা করে উঠে।
একটি আয়না আজ
হাজার বছরের মহামারীর ইতিহাসের কথা বলে;
বলে উঠে পোলেপসেনীয় যুদ্ধের কথা;
স্পার্টার হাতে গ্রীসের নগর রাষ্ট্রের কথা;
মহামারীর ক্ষমতার কথা;
প্রতিটা মহামারী শেষে পৃথিবীর নতুন করে সাজার কথা।
পৃথিবী সবুজ হবে
নাকি হবে আরো মানবিক
নির্ধারক সে’তো মহামারীই ;
আয়না আজ সে কথাই বলে।
আয়নাবেশী মহাকাল!
আমি তার কথা শুনি
ভাবিয়ে তুলে আমায়-
কেমন হবে করোনা পরের পৃথিবী?
আবারো কি আকাশ নীল হয়ে দেখা দিবে?
শরৎ এর বিকালের আকাশ!
আবারো কি শহরের রাস্তায় যানজট হবে?
অফিস শেষে প্রেমিক ছেলেটা
আবারো কি টিএসসির মোড়ে দাঁড়িয়ে
প্রেমিকাকে নিয়ে চায়ের কাপে চুপুক দিবে?
নাকি প্রলয় আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবে?
প্রলয় থেকে মহাপ্রলয়?
মোর কপালে চিন্তার ভাঁজ!
ছদ্মবেশী মহাকাল আয়নার রুপ ধরে
মিটমিটিয়ে হাসে
আর কানে কানে বলে উঠে-
এ’তো প্রকৃতির পরীক্ষা;
সমাজ পরিবর্তনের একটি ধাপ মাত্র।
করোনা পরের পৃথিবী
লাল, সবুজ নাকি নীল হবে
জানে না সে কিছুই,
তবে পরিবর্তন হবে এটা নিশ্চয়;
সমাজ-প্রতিষ্ঠান-রাষ্ট্র, যুদ্ধ-সম্পর্ক-রাজনীতি
সব কিছুর পরিবর্তনই অবিশ্যম্ভাবী।
|| সহস্র বছর পরে ||
নশ্বর এই জীবনে
কর্মের দ্বারাই হেঁটে যেতে চাই অনন্তকাল ধরে।
কর্মের দ্বারাই বাসনা রয়েছে বাঁচার
মানুষের হৃৎপিন্ডে
হাজার বছরের তরে।
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপাতে চাই বিশ্বকে
কাজী নজরুল কিংবা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
অথবা গ্যালিলিওদের মতই।
আমার মৃত্যুর ন’শ নিরানব্বই বছর পরেও
আমাকে বছর একুশের যুবক ভাবা হবে;
সেতো আমার কর্মেরই হেতু।
শত সহস্র বছর পরেও
ঊনিশ বছরের তরুণীটি আমার প্রেমে পড়বে;
আমার নামে স্কুল হবে, পুরষ্কার হবে
আরো নাম হবে নানান কিছুর।
মা বাবা সখ করে আমার নামে
নাম রাখবে তার নবজাতক শিশুর।
আজ থেকে সহস্র বছর পরেও আমি
দাঁপিয়ে বেড়াবো পৃথিবী।
বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন কিংবা প্রেয়সী নয়,
অবিনশ্বরতা সেতো দিবে আমার সৃষ্টি।
কর্মের দ্বারা শত জনমের তরে জায়গা করে নিবো আমি,
চষে বেড়াবো অযুত লক্ষ নিযুত কোটি মানুষের
বাম থেকে ডান অলিন্দে
অথবা তাদের মনের চারন ভূমি।।
কর্মের দ্বারাই এরিস্টটল হয়েছেন জগৎ বিখ্যাত;
মার্কোনি রয়েছেন ঘরে ঘরে;
এল বেয়ার্ডও বটে।
কর্মের দ্বারাই ভিক্টর হুগো আজো যুগলের চোখে মুখে।
কর্মটিই আমার রয়ে যাবে শুধু
ব্যক্তি আমি নই।
কর্মই মহান
কর্ম হতেই হবে যে সবার অমরত্বের উত্থান।
রাজা মহারাজা সেতো কম আসেনিকো এই ধরনীতে;
ক’জনইবা রয়ে গেছে আজো মনুষ্য মনেতে?
বেঁচে আছেন তারাই যারা জ্বেলেছেন মশাল আলো
করেছেন উৎসর্গ জীবন ওই মানবেরই তরে।
তারি তরে মোরা আজো মশাল জ্বালাই
স্যালুট করি তারে।
অর্থ-ক্ষমতা কখনো কি মহান করেছে তারে?
ত্যাগ করো, ছেড়ে দাও আজি এসকল অনর্থের হেতু।
সর্বান্তকরনে আজি মানবিক হও তুমি।
মহাকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরিবে তোমার সব কিছু।
মানবের তরে দিয়ে দিবো জীবন
করবো তারই সেবা
কর্মই আমাকে তৃপ্ত করবে
জাগিয়ে রাখবে স্পৃহা।
কর্মই মহান
কর্মই হোক তব জীবনের সব কিছু।
কর্মই আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে
হবে মহাকালের স্মরণীয় হেতু।