আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা’ দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যানের..! গাছ বিক্রির ঘটনায় যা বলছে সমিতির সভাপতি,জমির মালিক ও ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয়রা?
সরেজমিন অনুসন্ধানে গণমাধ্যমে যে সংবাদ উঠে আসে তার প্রতিবাদের নামে ম্যানেজ মিশন এবং দৌড়ঝাঁপ চলছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা- সমালোচনার পাশাপাশি স্থানীয়দের কানেমুখে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে..!
যদিও ঘটনার দিনই চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সমিতির গাছ কাটার বিষয়ে সুপারিশের কথা স্বীকার করেন (যার ভিডিও সংরক্ষিত)। অথচ আত্মরক্ষায় চেয়ারম্যান মিথ্যাচারে যে বিবৃতি এবং ‘অনুরোধে ঢেঁকি গেলার মতো’ কল্পকাহিনীর বক্তব্য দিচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন স্থানীয়রা ?
আশা করি,ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও মামলার ভিত্তিতে পুলিশ এবং প্রশাসন দ্রুত সুষ্ঠ এবং গুরুত্ব সহকারে ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উৎঘাটন করবেন। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবি করেছেন দামোদরপুরবাসী।
উল্লেখ,গত ৩০ মার্চ সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর রাস্তার দু’ধারে সমিতির মাধ্যমে রোপনকৃত ৬৩টি ইউক্লিকটাস গাছ অনুমোদন ছাড়াই বিক্রির ঘটনা ঘটে। ওইদিন কাঠ ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া ৫/৭ জন শ্রমিক পাঠিয়ে গাছ কর্তন শুরু করে। দুপুরে সমিতির সদস্য ও জমি মালিকরা বাঁধা দেয়া সত্বেও চারটি গাছ কেটে সেলিমের করাত কল ‘ছ’ মিলে নিয়ে যায় শ্রমিকরা। পরে ইউএনও’র নির্দেশে চেয়ারম্যান করাত কল ‘ছ’ মিল থেকে গাছের গুড়িগুলো উদ্ধার করে পরিষদে নিয়ে আসেন।
এরআগে,পশ্চিম দামোদরপুর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি গাছ কাটার সিদ্ধান্তের (কার্যনির্বাহী ও সাধারণ পরিষদের) রেজুলেশনসহ গত ২৩ মার্চ ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করেন সমিতির সভাপতি নাছির উদ্দিন। নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে জানানোর কথা চেয়ারম্যানের। কিন্তু তা না করে চেয়ারম্যান ওই রেজুলেশনের কপিতে নিজের সিল-স্বাক্ষর দিয়ে সুপারিশসহ গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করেন।