অনলাইন ডেস্ক♦♦
বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট, বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব রাকেশ রহমান দীর্ঘ ১৬ বছর পর লন্ডন থেকে দেশের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে মহান আল্লাহ তা’য়ালার শুকরিয়া আদায় করে বলেন, গত ১৬ বছর প্রবাস জীবনে অনেক ইচ্ছা সত্যেও দেশের মাটিতে পা রাখতে পারি নাই।
খুনী হাসিনা আমাকে ও আমার পরিবারকে এক মুহুর্তের জন্য শান্তিতে থাকতে দেয়নি। আমার চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টুর অপরাধ ছিল শেখ হাসিনার আমলনামা নিয়ে ‘আমার ফাঁসি চাই’ বইটি লিখেছিলেন। হাসিনার সরকার সেই বই নিষিদ্ধই শুধু করেনি, আমার চাচার উপর বার বার হামলা করেছে। দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা নিয়ে বিদেশের মাটিতে আমার চাচার মৃত্যু হয়েছে। আমি এই মৃত্যুকে মৃত্যু বলি না, আমি বলি শেখ হাসিনা আমার চাচাকে খুন করেছে।
শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মুগ্ধসহ সহস্রাধিক লাশের উপর দাড়িয়ে আছে নতুন বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে খুনী হাসিনার ঠাই হবে না। খুনী হাসিনাকে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। এখনও কিভাবে ভারতে বিনা পাসপোর্টে বসবাস করছে তা আন্তর্জাতিক আদালতে এসে উত্তর দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আজ শহীদ জেহাদ দিবস। এই পবিত্র দিনেই বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে যে সুখ অনুভূতি লালন করছি তা কোন কিছু দিয়ে বুঝানো যাবে না। এই সময় পুরান ঢাকার সুত্রাপুর ফরাশগঞ্জ এলাকাবাসী তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা রাকেশ রহমানের হাতে ‘একটি ভোরের প্রতিক্ষা’ বইটি তুলে দেন। এছাড়াও দীর্ঘ ১৬ বছর প্রবাসে থেকেও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবদানের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক, ম্যাডেল ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ ইলিয়াস খান খোকন, মোঃ আজাদুর রহমান, কাজী মাসুদ, মোঃ মাসুম, জিএম সাইদুল ইসলামসহ প্রমুখ। বিমানবন্দরে সংবর্ধনা শেষে গাড়ী ও মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জে বিকে. দাস রোডে নিজ বাড়ীতে উপস্থিত হলে সেখানে শত শত মানুষ তাকে স্বাগত জানান এবং তাৎক্ষনিক গণসংবর্ধনার আয়োজন করেন। গণসংবর্ধনায় রাকেশ রহমান বলেন, এই মাটিতে আমার জন্ম। আমার বাবা ও চাচারা এই মাটিতেই বেড়ে উঠেছে।
আমার বাবা ফরাশগঞ্জ বি. কে দাস রোডস্থ এলাকার দারোগা বাড়ির নাতী। সাবেক শহীদ সোরায়ার্দী কলেজের ভি. পি, মহানগর সেন্ট্রাল “ল” কলেজের জি. এস, এক্স- রিনা টেক্সটাইল মিলস এর চেয়ারম্যান ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সদস্য ও দীর্ঘ দিন কোষাদক্ষের দায়িত্ব পালন করা মরহুম শিল্পপতি সাইদুর রহমান। আমি যেখানেই থাকবো এদেশের মানুষের পক্ষে ও সত্যের পক্ষে লড়াই করে যাবো।
আমার বাবা ফরাশগঞ্জ বি. কে দাস রোডস্থ এলাকার দারোগা বাড়ির নাতী। সাবেক শহীদ সোরায়ার্দী কলেজের ভি. পি, মহানগর সেন্ট্রাল “ল” কলেজের জি. এস, এক্স- রিনা টেক্সটাইল মিলস এর চেয়ারম্যান ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সদস্য ও দীর্ঘ দিন কোষাদক্ষের দায়িত্ব পালন করা মরহুম শিল্পপতি সাইদুর রহমান। আমি যেখানেই থাকবো এদেশের মানুষের পক্ষে ও সত্যের পক্ষে লড়াই করে যাবো।
Tags: শহীদ