মো. মহসিন রেজা,শরীয়তপুর:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শরীয়তপুরের মঙ্গলমাঝি ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে লঞ্চগুলোতে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে মঙ্গলমাঝির ঘাট থেকে থেকে শিমুলিয়া ঘাটে প্রতিদিন ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ। এদিকে লঞ্চগুলোতে সরকারি নির্দেশনা মেনে যাত্রী পারাপার হচ্ছে কি-না তা তদারকিতে নেই স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী। ঘাট কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহনের জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলেও মানা হচ্ছে না নির্দেশনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালে নোঙর করা লঞ্চগুলোতে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে তেমন কোন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না যাত্রীরা, একজন যাত্রী অন্যজন যাত্রীর গায়ে গা ঘেঁষে লঞ্চে পারাপার হচ্ছেন। যদিও ঘাট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করেই তাদের দায় সারছেন। এ ব্যাপারে নিষেধ করলেও বেশিরভাগ যাত্রী শুনছেন না মাইকে দেওয়া ঘোষনা। আবার অনেকে মাস্ক পড়েননি। সামাজিক দূরত্ব মেনে অবস্থানের জন্য বলা হলেও তাদের এ ব্যাপারে আগ্রহ নেই। তবে লঞ্চ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মাঝে। যাত্রীদের অভিযোগ, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লঞ্চে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ৩৫টাকার ভাড়া ৫৫টাকা করলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার তুলনামূলক অনেক বেশি যাত্রী নিয়ে পার হলেও দেখার কেউ নেই। তবে বিআইডব্লিউটিএ শরীয়তপুরের মঙ্গলমাঝি ঘাটের ইনচার্জ আব্দুল হাই ইমাম বলেন, আমরা সব সময় যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা মানতে মাইকিং করছি। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের ক্ষেত্রেও নিষেধ করলেও যাত্রীরা তা মানছে না। যাত্রীরা দ্রুত পারাপারের জন্য যে যেই ভাবে পারছে লঞ্চে উঠে যাচ্ছে। জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান ভূঈয়া জানান, লঞ্চগুলোতে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা না মানলে মোবাইল কোর্ট করা হবে। আমাদের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। এরপর যদিও স্বাস্থ্যবিধি না মানা হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।