মো. মহসিন রেজা,শরীয়তপুর থেকে।।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অহিদ খান (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এসময় ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চিকন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহান হোসেন খানের সঙ্গে সাবেক যুবলীগ নেতা মুদাচ্ছের খানের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে চিকন্দী আবুরা ব্রিজ এলাকায় দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে মুদাচ্ছের খানের ছোট ভাই অহিদ খানকে গুরুতর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। বাকিরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এঘটনায় আক্তার ও ফরহাদ গ্রুপের ইদ্রিস খান সহ ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দুই পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এব্যাপারে মুদাচ্ছের খান বলেন, আক্তার খান ও ফরহাদ খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ছোট ভাই অহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের লোকজনকে হামলা করেছে, বোমা নিক্ষেপ করেছে। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। আক্তার-ফরহাদের ফাঁসি চাই। এব্যাপারে অ্যাডভোকেট আক্তারউজ্জামান খান বলেন, আমি নির্বাচন করেছি, ফেল করছি। আমার মেয়ের বিয়েতে আমি সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি। আমি কোনো গ্রুপিংয়ের মধ্যে নাই।
এব্যাপারে পালং থানার ওসি মো. আকতার হোসেন বলেন, এঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দোষীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।