শরীয়তপুর প্রতিনিধি◊◊
শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের আঃ রহমান খানের বাড়ি থেকে ২টি ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়াসহ পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আঃ রহমান খান বাদী হয়ে বিএম ফয়সাল আহম্মেদ মানিক বাঘা, রিপন সরদার, শহিদুল সরদার, নুরুজ্জামান সরদার, ওচমান সরদারসহ ১৩জনকে আসামী করে ৯ অক্টোবর পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় ও মামলার সূত্রে জানাযায়, আঃ রহমান খান বিদেশ যাওয়ার সময় প্রতিবেশী বিএম ফয়সাল আহম্মেদ মানিক বাঘার কাছে জমি বিক্রি করে এবং তিনি কয়েকবছর পর বিদেশ থেকে এসে বিক্রি করা সেই জমির বর্তমান মূল্য ৪ লক্ষ বিশ হাজার টাকা নির্ধারন করে চার লক্ষ টাকা নগদ দেয় এবং বিশ হাজার টাকা বাকি রেখে রেজিস্ট্রি বায়নাপত্র করেন। এরপর থেকে ফয়সাল জমি দলিল করে না দিয়ে তালবাহানা করে। দলিল করে না দেওয়ায় আঃ রহমান চিকন্দী মুনসেফ কোর্টে দেওয়ানী মামলা করেন। মামলা শেষ না হতেই প্রতিবেশী রিপন সরদারের কাছে ফয়সাল জমি বিক্রি করে দেয়। এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর আঃ রহমানের পরিবারের লোকজনকে মারধর করে বাড়ি থেকে একটি দোতলা ঘরসহ দুটি ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায় রিপন সরদারসহ তার লোকজনেরা। এছাড়া ঘরে থাকা নগদ টাকা স্বর্নালংকার, আলমারী ফ্যানসহ সব কিছু লুটে নেয় যার পরিমান নগদ টাকায় ১০/১২ লক্ষ টাকার বেশি হবে বলে জানাযায় মামলার সূত্রে।
এদিকে মামলা করার ছয়দিনেও পুলিশ কাউকে আটক করতে না পারায়, আসামীরা ১৬ অক্টোবর আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে যায়।
আঃ রহমান খান জানান, আমার কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে ফয়সাল রিপন সরদারের কাছে জমি বিক্রি করে দেয় এবং আমার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, রিপন সরদারসহ ২০/২৫ জন ধারালো রাম দা ছেন দা লাঠি সোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে আমার বসত বাড়ি থেকে একটি দোতলা ঘরসহ দুটি ঘর ও ঘরে থাকা টাকা, স্বর্নাংকার, ফ্যান খাটসহ আমার ১০/১২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকতার হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে কিন্তু আমরা গ্রেপ্তার করার আগেই আসামীরা কোর্টে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়েছে।