মো. মহসিন রেজা, শরীয়তপুর।।
শরীয়তপুর জেলা কারাগার থেকে নামে ভূল করে চুরি, ছিনতাই মামলার আসামী খুলনার লিটন শিকদারের জামিননামা দিয়ে বরিশালের লিটন ফরাজী নামের এক আসামী বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জেলা কারা কতৃপক্ষ সূত্রে জানাযায়, লিটন ফরাজী নামের এক আসামী চালাকি করে লিটন শিকদার সেজে কারাগার থেকে জামিনের কাগজপত্র দেখিয়ে বের হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর কারাগারের কারারক্ষী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল (রবিবার) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর কারাগারে এ ঘটনা ঘটে। পরে ব্যাপারটি বুঝতে পেরে ৫ এপ্রিল (সোমবার) পালং মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে শরীয়তপুর জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। শরীয়তপুর কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আমিরুল ইসলামের পালং মডেল থানায় করা জিডির আবেদনে বলা হয়েছে, ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় তিনি দুজন আসামিকে বিধি মোতাবেক মুক্তি দেন। কিন্তু দাফতরিক অনিচ্ছাকৃত ভুলের সুযোগ নিয়ে লিটন সিকদার সেজে প্রতারণা করে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন লিটন ফরাজী। এ ঘটনায় কারা অধিদফতরের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বরিশাল বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) টিপু সুলতানকে আহ্বায়ক এবং ফরিদপুর জেল সুপার আল মামুন ও ঝালকাঠির জেলার জান্নাত-উল-ফরহাদকে সদস্য করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) টিপু সুলতান বলেন, নামের ভুলের কারণে লিটন সিকদার সেজে কারাগার থেকে জামিনের কাগজপত্র দেখিয়ে বেরিয়ে গেছেন লিটন ফরাজী। তাই কারা অধিদফতর তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। সেই মোতাবেক আমরা আজ তদন্তের জন্য শরীয়তপুরে এসেছি। তদন্ত চলছে। লিটন ফরাজীকে হন্য হয়ে খুঁজছেন কারা কর্মকর্তারা। শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, লিটন ফরাজীর দুইটি ঠিকানা বরিশাল উজিরপুর ও ঢাকা বাসাবো। আমরা সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনে মেসেজ দিয়েছি। লিটন ফরাজীকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজছে পুলিশ। শরীয়তপুর কারাগারের জেল সুপার গোলাম হোসেন বলেন, লিটন ফরাজীর বাড়ি বরিশালের উজিরপুর। ঢাকার বাসাবোতে থাকেন। তার নামে তিনটি মামলা রয়েছে। আর লিটন সিকদারের বাড়ি খুলনার খালিশপুরে। দুজনই চুরি ও ছিনতাই মামলার আসামি। তিনি বলেন, এ ঘটনায় শরীয়তপুর কারাগারের কারারক্ষী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেল সুপার গোলাম হোসেন আরও জানিয়েছেন, আসামি লিটন ফরাজীকে পাওয়া না গেলেও নিয়ম মেনে অপর আসামি লিটন সিকদারকে গতকাল ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।