শরীয়তপুর প্রতিনিধি◊
শরীয়তপুরের আলোচিত প্রতিবন্ধী তাহমিনার উপর হামলার ঘটনার প্রধান আসামী সদর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ শেখ। তিনি শরীয়তপুরের নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়ে ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন শেখের পরিবারের সদস্যদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া এবং পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শাহাবুদ্দিন শেখ।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী শাহাবুদ্দিন শেখ জানান, ফরিদ শেখ আমার বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্যই বার বার আমাদের মেরে ফেলার চেস্টা করেছে। আমরা মামলা করেছি তাতে কোনো লাভ হয়নি। এক নম্বর আসামী হলেও সে তার মাদক (ইয়াবা) ব্যবসার টাকার গরমে।গত এক তারিখে জামিন পেয়েই, আবার আমাদের উপর হামলা নির্যাতন শুরু করেছে। এখনো আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে তাহমিনা ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমাদের কি বাঁচার অধিকার নেই? আমরা কি বাঁচতে পারবোনা? ফরিদ আমাদের বাঁচতে দিবেনা। এজন্য আমি পালং মডেল থানায় জিডি করেছি ফরিদ প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তার কিছুই করতে পারছেনা।
এলাকাবাসীর মতে, পৌর কাউন্সিলর ফরিদ শেখ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে থানায় মামলা করায় প্রাণনাশের হুমকির মুখে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগী দিনমজুর শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার পরিবারের সদস্যরা। সন্ত্রাসীরা জামিনে এসে মামলা তুলে না নিলে শাহাবুদ্দিন শেখ ও তার পরিবারের সদস্যদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে।
এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফের থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অসহায় শাহাবুদ্দিন শেখ।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ শেখ ও তার লোকজন জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে। গত ১৮ আগষ্ট স্বর্ণঘোষ গ্রামের প্রতিবেশী দিনমজুর শাহাবুদ্দিন শেখের পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। সন্ত্রাসীরা শাহাবুদ্দিনের প্রতিবন্ধী মেয়ে তাহমিনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এতে তাহমিনার মাথার হাড় পর্যন্ত কেটে যায়। তাহমিনার মাথায় ৩৮টি সেলাই দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত তাহমিনা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বাকিরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ‘ বুধবার শাহাবুদ্দিন শেখ থানায় হুমকি সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।