মো. মহসিন রেজা, শরীয়তপুর।।
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও সদর উপজেলাসহ অন্যেন্য উপজেলার এলজিইডি সড়ক নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাযায়, জাজিরার বড় গোপালপুর বালিয়া কান্দি থেকে জয়নগর ব্রিজ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কে ৫ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ডব্লিউ এমএম সড়কের কাজে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার ও সড়কের ম্যাকাডম কাজে ছয় ইঞ্চি পুরু খোয়ার জায়গায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শামীম ট্রেডার্স যেনো তেনোভাবে কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাছাড়া ডব্লিউ এম এমের ঢালাইতে নিম্নমানের খোয়া ময়লা আবর্জনাসহ ঢালাই ফেলে রোলার দিয়ে চেপে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া সদর উপজেলার আড়ি গাঁও থেকে গয়াতলা পর্যন্ত ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সাড়ে তিন ফুট প্রসস্তকরন কাজেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা তারা জানান, সাড়ে তিনফুট রাস্তা প্রসস্তকরনের কাজে রাস্তার পাশ দিয়ে গর্ত করে সেখানে কোনো খোয়া না দিয়েই বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে পুরো রাস্তা সমান করে, তার পর নামমাত্র কিছু খোয়া বিছিয়ে দিয়েছে, তারা একাজটিও করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হামিম এন্টার প্রাইজ। তারা আরও জানান কাজের বিষয়ে কিছু বলতে গেলে ঠিকাদারের লোকজন মারধর করতে আসে।
এদিকে সদর উপজেলার আরও একটি সড়ক আড়ি গাঁও থেকে চিকন্দী পর্যন্ত সড়কটি মেরামত করা হচ্ছে সেখানেও হামিম এন্টার প্রাইজ পচা ইট দিয়ে রাস্তায় ম্যাকাডমের কাজ করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় জনসাধারণ।
অন্যেন্য উপজেলায়ও একই ধরনের কাজ করা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন।
জাজিরা উপজেলার এলজিইডি কর্মকর্তা ইমন মোল্লা বলেন, বড় গোপালপুর জয়নগর সড়কটির ব্যাপারে আমি জেলা এলজিইডিকে লিখিতভাবে জানিয়েছি, এরাস্তার ইট খোয়া বালু ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষা করা হবে।
রাস্তার কাজে অনিয়মের বিষয়ে সদর উপজেলার এলজিইডির কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, আড়ি গাঁও থেকে নির্মিত রাস্তা দুটির বিষয়ে আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি আড়িগাঁও থেকে চিকন্দীর রাস্তাটির পচা খোয়া সরিয়ে ফেলতে বলেছি ও বরি গাঁও থেকে গয়াতলার রাস্তাটির বিষয়ে ঠিকাদারকে সাবধান করা হয়েছে।
এলজিইডি সড়কের কাজে অনিয়মের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান মিয়া বলেন, এলজিইডির সড়ক নির্মানে অনিয়ম হলে এক বিন্দু ছাড় দেয়া হবেনা, আমরা সকল সাইট ভিজিট করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।