||মো. মহসিন রেজা,শরীয়তপুর||
শরীয়তপুরে ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ২য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় আংগারিয়া ও ডোমসার ইউনিয়নে দুই প্রার্থীর দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। আংগারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা আঃ রাজ্জাক মোল্লা (৫৭) ও ডোমসার ইউনিয়ের ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার, আজহার বেপারী (৭৫)নামের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। গত ৭ নভেম্বর আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আসমা আক্তারের কর্মী রাজ্জাক মোল্লার উপর, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের উপস্থিতিতে তার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করে রাজ্জাক মোল্লাকে। পরে ২৬ নভেম্বর শুক্রবার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আসমা আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে এ হত্যাকান্ডে জড়িত হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করেছেন নিহতের পরিবার। নিহত এছাড়া স্থানীয় ও পরিবারসূত্রে জানাযায়,গত ২০ অক্টোবর রাতে ডোমসার ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থী (বর্তমান চেয়ারম্যান) মাষ্টার মজিবর খানের ডোমসার বাজারের নির্বাচনী ক্লাবে হামলা করে, আওয়ামীলীগ প্রার্থীর মিজান মোহাম্মদ খানের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা বোমা হামলাসহ মারধর ভাংচুর করে। তাতেই আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ২৮ নভেম্বর রোববার মৃত্যুবরন করেন,ডোমসার ইউনিয়নের লোহারপুল কোয়ারপুরের মৃত আরব আলী বেপারীর ছেলে আজহার বেপারী। এদিকে ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া, ডোমসার, তুলাসার এবং রুদ্রকর ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় কমপক্ষে ৫০জন আহত হয়েছেন। নির্বাচনী সহিংসতায় দু’জন নিহতের ঘটনায় পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকতার হোসেন জানান, এঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।