মো. মহসিন রেজা, শরীয়তপুর:
স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের নিয়ম না থাকলেও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা বাজারে লিজ নেওয়া জমিতে চলছে পাকা ভবন নির্মানের কাজ। গত দুইমাস ধরে বহুতল ভবন নির্মানের কাজ অব্যাহত থাকলেও জানেন না স্থানীয় প্রশাসন। যদিও বিষয়টি নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তবে, ভবন নির্মাণকারী ব্যাক্তি স্বীকার করেছেন লিজ নেওয়া সরকারি জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মান করা বেআইনী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভেদরগঞ্জ বাজারের ৪৪নং গৈাড্যা মৌজার, ১নং খতিয়ানের ১৩৩৫ নং দাগের ১শতাংশ জমি লিজ নেন সৌদি প্রবাসী স্থানীয় আবু তালেব মাদবর। চলতি বছরের জন্য ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস মাধ্যমে ২হাজার টাকা ফি জমা দিয়ে নবায়নও করা হয়েছে। এভাবেই সরকারি জমি লিজ দেওয়ার মাধ্যমে সরকার প্রতিবছর রাজস্ব আদায় করে থাকে। সোমবার (৩ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের মধ্যে গলিতে সরকার থেকে লিজ নেওয়া জমিতে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করছেন ৬/৭ শ্রমিক। এর মধ্যে শেষ হয়েছে বহুতল ভবনের বেজমেন্ট নির্মাণের কাজ। আর এসব নির্মাণ কাজ তদারকি করছেন বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মেসার্স সুমন ট্রেডার্সের প্রোপাইটর মোঃ রাশেদুজ্জামান সুমন। চোখের সামনে এভাবে দিনেরপর দিন বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকলেও প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। যদিও নির্মানাধীন ভবনের থেকে প্রায় ২শ’গজ দূরে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় ও ইউপি ভূমি সহকারী কর্মকর্তার অফিস। অবশ্য নির্দেশনা অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মানের বিষয়টি স্বীকার করে ভবন নির্মানকারী আবু তালেব বলেন, আমি বাজারে একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান করবো বলে জেলা প্রশাসক থেকে ১শতাংশ জমি লিজ নিয়েছি। বেআইনীভাবে কেন তাহলে এ কাজ করছেন জানতে চাইলে বলেন, এটি উপজেলার ভূমি অফিসের সবাই জানেন।এখন পর্যন্ত অনেক মিডিয়া ও ভূমির লোকজন এসেছে কিন্তু কেউ কোন সমস্যার কথা বলে নাই। আপনারও আসছেন ভালো হয়েছে। রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজা শাহ আলম বলেন, আমি একমাস হলো বদলি হয়ে এখানে যোগদান করেছি। ভবন মির্মানের বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি আপনাদের মাধ্যমে শুনলাম, এখন ঘটনা স্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে এসিল্যান্ড স্যারের সাথে কথা বলে আপনাকে জানাবো। ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, সরকার থেকে লিজ নেওয়া জমিতে ভবন নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে খুব দ্রুতই পদক্ষেপ নেয়া হবে।