মো: মহসিন রেজা,শরীয়তপুর:
শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চরলাউখোলা বালী কান্দি গ্রামে ২ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মৃত আদু খাঁর ছেলে ৪ সন্তানের জনক দুদু খাঁ (৪৫) এর বিরুদ্ধে, তিনি তার প্রতিবেশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ডিম বিক্রেতার স্ত্রীকে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষনের এঘটনা ঘরের বাইরের ফাঁক দিয়ে ভিডিও চিত্রধারণ করেন স্থানীয় ৪ যুবক এবং তারই সূত্র ধরে ধর্ষিতার অজান্তেই মূলনা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন দুদু খাঁর কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে সালিশ বসিয়ে বিচার করা হয় দুদু খাঁর।দুই সন্তানের জননী ৩১ বছর বয়সী এই নারী নিতান্তই গরীব এবং সহজ সরল মানুষ স্বামীও প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিচার চাওয়ার জায়গাটিও জানা নেই তাদের ।
আর এই সুযোগে ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মোকশেদ মাদবরের বাড়িতে বসে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বাদীপক্ষের অনুপস্থিতিতে স্থানীয় সালিশ বিচারের মাধ্যমে ধর্ষককে ২০টি জুতার পেটান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, ১০টি পেটান দেওয়ার পরে দৌড় মারে দুদু খাঁ। এ ঘটনায় থানায় এখনও কোনো মামলা করা হযনি।
ধর্ষিতা নারীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারি রাত দশটায় স্বামীর অনুপস্থিতিতে ধর্ষক দুদু খাঁ জোড় করে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে, এর আগেও দুদু খাঁ মাঝে মধ্যেই কুপ্রস্তাব দিত, রাজি না হওয়ায় জোর করে ধর্ষন করে।
ধর্ষিতার স্বামী জানান, আমি ফুটপাতে সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। সেদিন রাতে বাসায় এসে দেখি, বাড়ির সামনে অনেক মানুষের ভীর। পরে স্ত্রীর কাছ থেকে জানতে পারি এলাকার দুদু খাঁ তাকে ধর্ষণ করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে সালিশ মেম্বার জসিম উদ্দিনকে পাওয়া গেলে তিনি বিচার হিসাবে দুদু খাঁকে ২০ টি জুতার পেটানোর কথা স্বীকার করলেও টাকার নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
এদিকে নয়ন মোড়ল জানায়, আমি, রায়হান সিকদার,ফরহাদ, আবুল মোড়ল মিলে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও করেছি। গতকাল সালিশ বিচারের সময় বিচারকরা সে ভিডিও আমাদের মোবাইল থেকে ডিলিট করে দিয়েছে।
বুধবার ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জাজিরা থানা পুলিশ মেম্বার জসিম উদ্দিন, ভিডিও ধারনকারী নয়ন ও ধর্ষিতাকে থানায় নিয়ে যায়।এঘটনায় জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় স্থানীয় সালিশদের জিঙ্গাসাবাদের জন্য থানায় এনেছি।