মোঃ মহসিন রেজা শরীয়তপুর।।
শরীয়তপুর জেলা থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক তৈরী হচ্ছে ডোমসার থেকে গঙ্গা নগর লাউখোলা হয়ে কাজির হাট দিয়ে মঙ্গল মাঝির ঘাটের মেইন সড়কের সাথে যুক্ত হওয়া সড়কটি প্রায় ১৬ কিলো মিটার। কাজেও রয়েছে ধীরগতির
সড়ক নির্মানের জন্য মাদারীপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাইনুদ্দিনবাসী লিমিটেডকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেন শরীয়তপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের এপ্রিল মাসে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ২২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সড়ক নির্মানের জন্য মেসার্স মাইনুদ্দিনবাসী লিমিটেডকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। যা শেষ হবে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে।
চুক্তি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা, এদিকে ফেব্রুয়ারী মাস শেষ হতে চলছে কিন্তু কাজের গতি বাড়ছেনা ১৬ কিঃমিঃ সরকের এখনো ৬০ ভাগ কাজ শেষ করতে পারেনি মেসার্স মইনুদ্দিনবাসী লিঃ
এই সড়ক নির্মানের শুরু থেকে উঠে এসেছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। যার মধ্যে রয়েছে ৬৫ শতাংশ পাথর ও ৩৫ বালু মিক্স করে সড়কে দেওয়ার কথা চুক্তি পত্রে উল্লেখ থাকলেও তা মানছেনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাইনুদ্দিনবাসী লিঃ,তাদের ইচ্ছেমত বড় বড় পাথর যা ৫০ শতাংশেরও কম এবং চুক্তির চেয়েও বেশি পরিমান বালুর মিশ্রন দিয়ে শেষ করেছে সড়কের ম্যাকাডমের কাজ।
ম্যাকাডমের কাজ শেষে পিচ ঢালাইয়ের কাজেও রয়েছে অনিয়ম যেখানে ৫০মিলি মিটার অর্থাৎ ২ ইঞ্চির সামান্য কম ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তাদের ইচ্ছেমত ২ নম্বর বিটুমিন দিয়ে কোথাও দেড় ইঞ্চি কোথাও দেড় ইঞ্চির কম পিচ ঢালাই দিয়ে আঁকাবাকা উঁচু নিচু করে চালিয়ে যাচ্ছে সড়কের কাজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ এই সড়ক দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়েছিলো এখনো কাজ পড়ে আছে অনেকদিন ধরে, যদি আবার এরকম নিম্নমানের কাজ করে তাহলে এই সড়ক বেশিদিন টিকবেনা আবারো সেই বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে।
এবিষয়ে মুঠোফোনে মেসার্স মাইনুদ্দিনবাসী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ নাঈম খান বলেন, কাজ নিয়ম মাফিক হচ্ছে কোনো সমস্যা হবেনা।
নির্মানাধীন এই সড়কের অনিয়মের বিষয়ে সড়কটির দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, এই সড়কটি নির্মান কাজ দেখ ভালোর দায়িত্ব আমার কাছে রাস্তা নির্মানে অনিয়ম করলে কাজ শেষ হলে আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তারাও সড়কটি পরীক্ষা করে কাজের বিল ছাড় দিবেন।