শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার সরদার কান্দি গ্রামের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী লিজা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশের উপর এসিড ঢেলে পাট ক্ষেতের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে পুলিশের চৌকসতায় ৮দিন পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চাঞ্চল্যকর লিজা হত্যা মামলায় মো. ফরিদ শেখ ও মো. জাকির শেখ নামের দুজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান এই রায় প্রদান করেন।রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের আদেশে তাঁদের জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সখিপুর থানার সরদার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা লেহাজ উদ্দিন শেখের মেয়ে লিজা আক্তার (১১) সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় লিজা।
নিখোঁজের আট দিন পর ২২ জুলাই বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে একটি পাটক্ষেত থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।হত্যা মামলায় প্রতিবেশী ফরিদ শেখ ও জাকির শেখকে আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই দুপুরে সখিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বাইসাইকেল চালাচ্ছিল লিজা, তখন তার প্রতিবেশী ফরিদ ও জাকির তাকে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে দুজনে মিলে শিশুটি ধর্ষণের করে, ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা লিজাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।মামলা হওয়ার পর ওই বছরের ২৩ জুলাই ফরিদ ও জাকিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাঁরা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই বছরের ৪ জুন অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আর সকালে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, মামলার রায়টি দ্রুত হওয়ায় মেয়েটির পরিবার ও আমরা সন্তুষ্ট, এবিচারের মাধ্যেমে ধর্ষক,খুনীদের দৌরাত্ম কমে যাবে বলে আশা করছি।