||মো.মহসিন রেজা, শরীয়তপুর||
শরীয়তপুরে তিন দিনব্যাপী শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের আঞ্চলিক ইজতেমা। ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনের এই ইজতেমা শুরু হয়। এবছর শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের কানাবাজার বিলে গ্রামে ১০ একর জমির উপর অনুষ্ঠিত হচ্ছে আঞ্চলিক এ ইজতেমা। আঞ্চলিক ইজতেমা এবার নিয়ে চতুর্থ বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ফজরের ওয়াক্ত থেকে কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে আল্লাহ ও নবী-রাসুলের হুকুম মেনে চলার মধ্যে দিয়ে ইহকাল ও পরকালে সুখ-শান্তি রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বয়ান করেন। পরে স্থানীয় মুরব্বিরাও বয়ান করেন। ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার হওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মুসল্লী ইজতেমায় এসেছেন জুমার নামাজ আদায়। আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেন। এখানে শরীয়তপুরে পালং, নড়িয়া, ডামুড্যা, ভেদরগঞ্জ, গোসাইরহাট, জাজিরা উপজেলার তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা এসে জমায়াত হচ্ছেন। এ ছাড়া দেশের বাইরে শ্রীলঙ্কা, ভারত, নাইজেরিয়া থেকেও তাবলিগের মুরব্বিরা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। মুসল্লিদের সেবা দিতে ইজতেমা মাঠে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া মুসল্লিদের পরিবহন রাখার জন্য স্থানীয়রা গ্যারেজের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। মাঠের আশপাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক খাবারের দোকান। মুসল্লিদের জন্য সহস্রাধিক বাথরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, পালং ইউনিয়নের কানার বাজার এলাকার কানারগাঁও গ্রামে ইজতেমা মাঠে জড়ো হচ্ছেন মুসুল্লিরা। সড়কের পাশে যানবাহন ও মুসল্লিদের পথ দেখিয়ে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবীর দল। এছাড়া নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচলে ও মুসল্লীদের নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে ইজতেমা ময়দানে। শরীয়তপুর আঞ্চলিক ইজতেমা পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানাযায়, ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ফজরের ওয়াক্ত থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে নিজামুদ্দিনের তরতিবে ইজতেমা শুরু হয়েছে। আগামী শনিবার ৪ ডিসেম্বর আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে শরীয়তপুরের আঞ্চলিক ইজতেমার কার্যক্রম। পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, কয়েক স্তরের ইজতেমায় নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।