মো. মহসিন রেজা, শরীয়তপুর।।
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া -২ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম এনামূল হক শামীম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে তার সংসদীয় আসনে, বিশেষ করে সড়কগুলোতে সেই সুযোগে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও নির্মান কতৃপক্ষের যোগসাজশে অনিয়মের করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার ফলে যেসব সড়ক তিন বছর অক্ষত থাকার কথা সেসব সড়কে একবছর না যেতেই সৃষ্টি হচ্ছে খানাখন্দের। এধরনের আরো একটি সড়ক নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর থেকে কার্তিকপুর বাজার পর্যন্ত নির্মান হচ্ছে। সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে, সাড়ে নয় কিলোমিটারের এই ডাব্লু এমএম সড়কটিতেও নিম্নমানের খোয়া ব্যাবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
গোলার মাঠ এলাকার ওহাব খানসহ অনেকেই বলেন, ভালো এবং পচা ইট ভেঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছে এছাড়া সড়টির দু-পাশে তিনফুট করে এটেল মাটি দেওয়ার কথা থাকলেও পর্যাপ্ত মাটি না দেওয়ায় রাস্তার এজেন্ট দেবে গিয়ে নিচু হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া সড়কে নিচু অবস্থাতেই পিচ ঢালাই দিয়ে যাচ্ছে সড়ক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স শেখ এন্টার প্রাইজ। অন্যদিকে সড়কে পিচ ঢালাইয়ে ব্যাবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের পাথর ও বিটুমিন। এছাড়া পিচ ঢালাই দেওয়ার পরেও রাস্তা উঁচু নিচু এবং পিচ ঢালাইয়ের পুরু কম দিয়ে ও প্রয়োজনীয় ফিনিশিং দেওয়া হয়নি রাস্তাটিতে।
সড়ক নির্মানে অনিয়মের বিষয়ে এলজিইডি নড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, এগুলো ডাব্লু এমএম রোড এগুলোতে ইট পঁচিয়েই ব্যাবহার করতে হয়, কাজ শেষ হলে আমরা বুঝে নেবো।
সড়কটির অন্যেন্য অনিয়মের বিষয়ে সড়কটির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.আলমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়ে তিনি বলেন, আমি কি আপনার চাকর আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবেনা, এছাড়া সড়কটিতে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট দল এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সড়ক বুঝে নেবে বলেও জানান তিনি।