শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরে আলোচিত পিপি এড. হাবিবুর রহমান ও তার সহোদর মনির হোসেন মুন্সী হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে দীর্ঘ দুই দশক পর ২১ মার্চ রবিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় প্রদান করে শরীয়তপুরের বিচারিক আদালত।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় ৬ জনের ফাঁসির আদেশ, ৪ জনের যাবৎজীবন ও ৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজার আদেশ দিয়েছেন বিচারিক আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত হোসাইন ১৩৩ পৃষ্ঠার এই রায় ঘোষণা করেন। বাকিদের খালাশ প্রদান করেন আদালত।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেনঃ শহিদ কোতয়াল, শাহীন কোতয়াল, শফিক কোতয়াল, শহীদ তালুকদার, সোলেমান সরদার ও মজিবুর রহমান।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেনঃ সরোয়ার হোসেন বাবুল তালুকদার, জাকির হোসেন ডাবলু তালুকদার, বাবুল খান ও রশিদ সরদার।বিভিন্ন মেয়াদে যাদেরকে সাজা দিয়েছেন তারা হলেন মন্টু তালুকদার, আসলাম সরদার এবং মজনু সরদার। এদের ৭, ৩, ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এ মামলায় মোট ৫৪ জনকে আসামী করা হয়েছিলো এর মধ্যে প্রায়াত এমপি কেএম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গজেবসহ দুইজন মারা যাওয়ায় বর্তমানে ৫২জন আসামী রয়েছেন।
বিভিন্ন সময় আসামী ও বাদী পক্ষ মামলাটির সু বিচার পাওয়ার আশায় স্থগিত রেখেছিলেন। দীর্ঘ ২০ বছর পর ২০২১ সালে এ মামলাটির বিচার কার্যক্রম নতুন করে শুরু হয়।
উল্লেখ্যে, ২০০১ সালের ৫ অক্টোবর পিপি এড. হাবিবুর রহমান তার নিজ বাসায় দলীয় লোকজন নিয়ে সভা করছিলেন সে সময় প্রকাশ্যে দিবালোকে অতর্কিত হামলার শিকার হয়ে খুন হন শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক জজকোর্টের পিপি এড. হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনির হোসেন মুন্সী।
এ ঘটনায় এড. হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত হাবিব বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন, আইনী জটিলতার কারনে দীর্ঘদিন মামলার বিচার কাজ স্থগিত থাকার পর পুনরায় শুরু হয় মামলার কার্যক্রম। এতোদিনে মামলার বাদীনি জিন্নাত হাবিব মারা যান, পরবর্তীতে নিহত হাবিবুর রহমানের ছেলে শরীয়তপুর পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র এড. পারভেজ রহমান মামলাটির খোঁজ খবর রাখেন।
এ মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ও যাবৎজীবন দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজন আসামী পলাতক রয়েছেন। পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বাদী পক্ষের আইনজীবীরা ও নিহতের ছেলে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারবেজ রহমান আদালতের রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের আইনজীবী এড. মাসুদুর রহমান মাসুদ উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানান।