শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুর জেলা শহরের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণে নিতে রাশেদ সরদার ও বাচ্চু বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে পালং বাজারে সংঘর্ষ হামলা লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
১৭ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পালং বাজারের রাজগঞ্জ ব্রীজ এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এসময় পালং বাজারে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্থানীয় সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু মিয়ার ছবি চেয়ার টেবিল ভাংচুর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায় সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ সরদারের সমর্থকদের সঙ্গে শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চু বেপারীর সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দু পক্ষের শতশত কর্মী সমর্থক রাম দা লাঠি সোটা কটটেল ইট পাটকেল নিয়ে হামলা চালায়। সংঘর্ষ চলাকালে বাজারের কয়েকটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাশেদ ও বাচ্চু বেপারী দু-গ্রুপই আওয়ামীলীগের সমর্থক হওয়ায় স্থানীয় সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু মিয়া দু-গ্রুপকেই শান্ত করার চেষ্টা করেন।
সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে পালং বাজারের ব্যাবসায়ীরা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন।
এর আগে গত সোমবার রাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় রাশেদ সরদারের সাথে বাচ্চু বেপারীর সমর্থক সজীব সরদারের সাথে অবৈধ ব্যাবসা বানিজ্যের ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়, সংঘর্ষে পথচারীসহ ৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাশেদ সরদারসহ ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলামউদ্দিন জানান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশেদ সরদারের সাথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাচ্চু বেপারীর সমর্থক সজিব সরদারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়, এনিয়ে গত সোমবার রাশেদ ও তাঁর সমর্থকেরা সজীবকে মারধর করে। সেই সূত্র ধরে পরবর্তীতে দুগ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়। এঘটনার দুইদিন পর বুধবার আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের পর থেকে পালং বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকারপাট বন্ধ রেখেছে। সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান এখনো কোন পক্ষের কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।