মো. মহসিন রেজা,শরীয়তপুর◊◊
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের সুজন দোয়াল গ্রামের আনোয়ার মুন্সীর ছেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা,তার মায়ের জানাযা নামাজ আদায় করেন হাত করা ও ডান্ডাবেরী পরিহিত অবস্থায়।
সেলিম রেজার মা নাসিমা বেগম ১৫ জানুয়ারী রোববার সকাল ১০টার দিকে মারা যান।
মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়িতে মায়ের জানাযায় উপস্থিত হন সেলিম রেজা।
ছাত্রদল নেতা সেলিম রেজা গত গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হন। পুলিশের দায়ের করা মামলায় কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।
আত্মীয়রা জানান, জানাযায় অংশ নিতে তার আইনজীবীর মাধ্যমে রোববার সকালে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন তিনি, ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত তিনি প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। পরে পুলিশ রাত পৌনে তিনটার দিকে সেলিম রেজাকে নিয়ে উপস্থিত হন তার গ্রামের বাড়ি সুজন দোয়াল। এসময় সেলিম রেজা কান্নায় ভেঙে পড়েন, তাকে এ অবস্থায় দেখে তার আত্মীয় স্বজনরাও ভেঙ্গে পড়েন।
সেলিম রেজার মুক্তি নিয়েও জটিলতার সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
সেলিম রেজা যখন তার মায়ের জানাযায় অংশ নেন তখন তার হাতে হাত কড়া ও পায়ে ডান্ডাবেরী পড়ানো ছিলো বলে তারা জানান স্থানীয়রা।
সেলিম রেজার মায়ের জানাযায় স্থানীয়রা ছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আরিফ, জুয়েল মৃধা, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সদস্য সচিব নিয়াজ মাহমুদ, জগ্ননাথ বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সাহরিয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য ওমর ফারুক, শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী, ইসহাক সরদার, জিয়াদুল করিম কাজল, পান্থ তালুকদার ও শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির মাদবর ও অন্যেন্য ইউনিটের অসংখ্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজায় উপস্থিত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ইসহাক সরদার বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা সেলিম রেজা ভাইয়ের মায়ের জানাযার সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি। জানাজায় উপস্থিত সবাই ঘটনাটি দেখেছেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।