তিনি আরো বলেন, রোবটিক্স সিস্টেম চালু করার পূর্বে শ্রমিক কর্মচারীদের কর্মসংস্থান ঠিক রাখার নিশ্চয়তা প্রদান অত্যাবশ্যক। এমনিতেই পোশাক শিল্পে শ্রমিকের সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে। ৮০’র দশকে ৭৫ লাখ, ৯০’র দশকে ৫৫—৫৬ লাখ, ২০০১ সালের দিকে ৪০—৪২ লাখ শ্রমিক—কর্মচারী কর্মরত থাকলেও এখন ৩০ লাখের নিচে শ্রমিক কাজ করে। সকল সেক্টরে শিল্পের উৎপাদন ক্ষমতা ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেলেও শ্রমিকদের সংখ্যা অর্থাৎ কর্মসংস্থান কমে আসছে। এখন রোবটিক্স পদ্ধতি চালু করায় শ্রমিক কর্মচারীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে। মাটি কাটার কাজে লোকের প্রয়োজন পড়ে না, রাইস মিলে শ্রমিক কর্মচারী হ্রাস পাচ্ছে, লোড-আনলোড (কুলি) শ্রমিক প্রয়োজনীয়তা হারাচ্ছে, কৃষি কাজে শ্রমিকের পরিমাণ কমে আসছে।
বজলুর রহমান বাবলু বলেন, এ থেকে উত্তরণের পথ বের না করতে পারলে শুধু দেশের কিছু সংখ্যক পুজিবাদীরাই লাভবান হবে অপর প্রান্তে খেটে খাওয়া মানুষগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থা, দ্রব্যমূল্য সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, অবৈধ বিদেশি শ্রমিক-কর্মচারীদের মাধ্যমে আমাদের দেশের অর্থ অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে, ব্যাংকগুলোর অর্থ লুটপাট, দেশ পরিচালনায় কতিপয় দায়িত্বশীল ব্যক্তি আমলাতান্ত্রিক দুর্নীতি ও কর্তৃত্ব, অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জন করে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার বন্ধ করতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে। এরপর যদি প্রায় ২ কোটি লোকের চাকরি হারানোর মতো এমন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয় তাহলে কি হবে এটা বড় ধরনের অনিশ্চিয়তা। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র যখন মাথার উপর ভর করছে। এমন কি পাট শিল্প কারখানার মত আমাদের অন্যান্য শিল্প কারখানাগুলোও যে ষড়যন্ত্রের শিকার হবে না এটা বলা মুশকিল। তাই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি যেন কোন শ্রমিক-কর্মচারী ক্ষতিগ্রস্থ না হয় বরং কর্মসংস্থান যাতে আরো বৃদ্ধি পায় সেদিকে অবশ্যই সরকার, কারখানার মালিক ও বিশেষজ্ঞ মহলকে চিন্তা করতে হবে।