গত ১৯ জুন ২০২২ (রোববার) বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির—এর পক্ষে এ নোটিশ প্রদান করেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের এডভোকেট এম এম খালেকুজ্জামান।
এতে নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনের দাবি জানানো হয়, অন্যথায় সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়।
উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর ২০২০ রেলওয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ অনুমোদন হওয়ার পর থেকে নিয়োগ বিধিমালার বিভিন্ন বিষয়ের উপর রেলওয়ের সকল ট্রেড ইউনিয়ন ও রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি আপত্তি ও সংশোধনের দাবি জানিয়ে আন্দোলন—সংগ্রাম করে আসছে। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ নিয়োগ বিধিমালা হালনাগাদ/সংশোধন করার লক্ষ্যে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৭ (সাত) অতিবাহিত হলেও নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। অপরদিকে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের পূর্বে রেলওয়ে একে পর এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে এবং পরীক্ষা গ্রহণ করছে। ফলে রেল পোষ্যদের অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, পূর্বের বিভিন্ন পদে দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রায় ১৮০০ জনবল নিয়োগ সম্পন্ন না করা, নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের লক্ষ্যে কমিটি গঠন, সংশোধনের পূর্বেই আবারো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পূর্বের পদোন্নতি ঝুলিয়ে রেখে নতুন করে পদোন্নতির জন্য পত্র জারি এই সব কিছুই দেখে মনে হচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয় রেলওয়ে শ্রমিক—কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার নিয়ে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের নামে তামাশা করছে। অনতিবিলম্বে এই তামাশা বন্ধ করে, রেলওয়ে নিয়োগ ব্যুরো পুনঃবহাল, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মহাব্যবস্থাপককে প্রদান, পোষ্যর সংজ্ঞা, নিয়োগ পদ্ধতি, পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ, শিক্ষাগত যোগ্যতা সংশোধন, আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগ বন্ধ, কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর পোষ্যকে সরাসরি নিয়োগে পূর্বের নিয়ম বহালসহ আন্দোলনকারীদের দাবিসমূহ মেনে নিয়ে রেলওয়ে কর্মচারীবান্ধব নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করে জনবল নিয়োগ করার দাবি জানাচ্ছি।