নতুন বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ৮ দফা সমূহ:
১) সর্বস্তরের দুর্নীতি বন্ধে পার্লামেন্টারি নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে সরকার ও রাজনৈতিক দলের ভারসাম্যতা নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধি ও নাগরিকদের সমন্বয়ে “প্রতিনিধিত্বশীল সরকার” ব্যবস্থার প্রবর্তন করা।
২) স্থায়ী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন এবং বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সাবেক বিচারপতি ও সিনিয়র আইনজীবীদের সমন্বয়ে “জুডিশিয়াল সিলেকশন প্যানেল” গঠন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট ডিভিশন চালু করা।
৩) নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে স্থায়ীভাবে ক্যাডার ও নন ক্যাডারদের মধ্য হতে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচিত করা এবং দল নিবন্ধন আইনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হলে রাজনৈতিক দলের প্রতীক বরাদ্দ নিশ্চিত করা। স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর স্থায়ীভাবে বাতিল করা।
৪) বেকারত্ব দূরীকরণে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি এসএসসি পাঠ্যক্রমের পরে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করে ২৬ বছর বয়সের মধ্যে সরকারি চাকরি নিশ্চিত করা, বেসরকারি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে জেলাভিত্তিক শিল্প স্থাপন জোরদার এবং বিদেশে টাকা পাচার রোধে অঞ্চল ভিত্তিক বিনিয়োগ সহজীকরণ করা।
৫) জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহতা তুলে ধরা, ক্লিন ভিলেজ— গ্রিন ভিলেজ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গ্রাম ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়ন, শিশু শ্রেণী ও প্রাইমারি স্কুল পর্যায়ে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং নারীর জীবনমান উন্নয়নে “জাতীয় নারী উন্নয়ন কমিশন” গঠন করা।
৬) সরকারের পক্ষ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দক্ষ শ্রমিক বিদেশ পাঠাতে জেলা ভিত্তিক কারিগরি প্রতিষ্ঠান স্থাপন, নতুন নতুন শ্রমবাজার তৈরি করতে “জাতীয় লেবার হেল্পিং কাউন্সিল” প্রতিষ্ঠা, প্রবাসীদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন, বিনামূল্যে মৃত প্রবাসী শ্রমিকের লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করা।
৭) সর্বস্তরে মেধা ভিত্তিক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে “জাতীয় নিয়োগ কমিশন” গঠন এবং যে কোন বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার তদন্ত ভুল প্রমাণিত হলে শাস্তির পাশাপাশি চাকুরী চ্যুতির বিধান চালু এবং স্বাধীন গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে জাতীয় প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করা।