নিজস্ব প্রতিবেদক:
তথ্য সুরক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ডাটা প্রাইভেসি ডে বা তথ্য সুরক্ষা দিবস পালনের দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।
আজ (২৭ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক।
মুর্শিদুল হক বলেন, “প্রতি বছর ২৮ জানুয়ারি বিশ্ব ব্যাপী ডাটা প্রাইভেসি ডে পালিত হয়ে থাকে। ইউরোপে দিবসটি ডাটা প্রটেকশন ডে হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নাইজেরিয়া, ইসরাইল, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইডেনসহ ৪৭টি ইউরোপীয় দেশে দিবসটি পালিত হয়। ২০০৭ সালে ইউরোপিয়ান কাউন্সিল সর্বপ্রথম ২৮ জানুয়ারি ডাটা প্রটেকশন ডে হিসেবে পালন করে। এরপর ২০০৯ সালের ২৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভ ২৮ জানুয়ারি ন্যাশনাল ডাটা প্রাইভেসি ডে হিসেবে পালনের অনুমতি দেয়। তারপর থেকে পর্যায়ক্রমে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এবং বিভিন্ন সংগঠন ও অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও বেশ কিছু সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।”
মুর্শিদুল হক বলেন, “ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)’র মতো প্রযুক্তিগত অগ্রসরতার ভবিষ্যত প্রজন্মের মূল ভিত্তি তথ্য সুরক্ষা। ভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য লেনদেনের পদ্ধতি ও তথ্য সুরক্ষা সম্পর্কে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি ভোক্তাদেরকে সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটির উপরে। ব্যবহাকারীরা জীবনের বেশির ভাগ সময় ইন্টারনেট ও ডিভাইসগুলোতে বিভিন্ন কাজে ব্যয় করছে। এখনো অনেকেই জানেন না, তাদের অজান্তেই তাদের ব্যবহৃত ডিভাইস ও অনলাইন সেবা থেকে অসংখ্য ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তা শেয়ার করা হচ্ছে। এসব তথ্য একদিকে যেমন উপকারে ব্যবহৃত হতে পারে আবার অবাঞ্ছিতভাবেও ব্যবহৃত হতে পারে। টিক্যাব মনে করে অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পেতে তথ্য সুরক্ষার কোন বিকল্প নেই। ”
টিক্যাব আহ্বায়ক বলেন, “করোনা মহামারি মোকাবেলায় সরকারি বিধি—নিষেধের কারনে দিবসটি যথাযথভাবে পালন সম্ভব না হলেও ভবিষ্যতে সারাদেশে বড় পরিসরে দিবসটি পালনে আমরা সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করছি। তথ্য সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতা তৈরির দায়িত্ব শুধু সরকারের নয় বরং এর জন্য সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। তবে এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে সরকারকে। তাই তথ্য সুরক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে আগামীতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দিবসটি পালনে টিক্যাবের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত সকল ধরণের তথ্য সুরক্ষায় বিটিআরসি সহ অন্যান্য কতৃর্পক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”