এ এইচ নান্টু, রামপাল প্রতিনিধি:
রামপালে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৫ আগষ্ট ও জাতীয় শোক দিবস পালন এবং বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্ন খাতে প্রবাহ ও ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রধান শিক্ষক তালুকদার রেজাউল করিম মরিয়া হয়ে উঠেছেন। জানাগেছে, উপজেলার কুমলাই গাববুনিয়া শহীদ সরদার ইব্রাহীম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ১৫ আগষ্ট পালনের জন্যে ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একই প্যানা বার বার ব্যবহার করে ও বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মল্লিক নজরুল ইসলাম। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষক তালুকদার রেজাউল করিম ২০১৭ সাল থেকে একই প্যানা গত চার বছর ধরে ব্যবহার করে আসছেন। এছাড়াও বর্তমান সভাপতিকে কৌশলে সরিয়ে দিয়ে তার সহি স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া রেজুলেশন তৈরি করে সরকারি বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা উত্তোলন করার চেষ্টা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে
বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মু. শাহা আলম এক সদস্য বিশিষ্ট ও রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমাদানের নির্দেশ দেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, যথাক্রমে ডিপিইও’র প্রতিনিধি এটিইও শেখ ইদ্রীস আলী, ও রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি এটিইও
এনামুল কবির, মোঃ আসাদুজ্জামান, জিএম ওসমান গনী ও সঞ্জয় সানা। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তালুকদার রেজাউল করিমের কাছে তার ব্যবহৃত ০১৭২১০৪৬১৩৯
নং মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, তদন্ত হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আর কোন মন্তব্য
করতে রাজি হননি। আপনার সাথে আগামী রবিবার সাক্ষাতে এসে কথা বলবো।
অভিযোগকারী সভাপতি প্রভাষক নজরুল ইসলাম জানান, আমরা তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের
নিকটে প্রকৃত অনিয়মের বিষয়টি যথাযথ ভাবে তুলে ধরেছি আশা করি ন্যায় বিচার পাবো। তদন্তের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা মিলেছে এবং তদন্ত চলমান আছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস এর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সংঙ্গে কথা বলে বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।