নিজস্ব প্রতিবেদক।।
দেশের রাজনীতি এখন পথহারা। দু:খজনক হলেও সত্য যে, রাজনীতিবিদদের হাতে এখন আর কোন ক্ষমতা নেই। রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ এখন এক অদৃশ্য শক্তির হাতে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশষ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেন, রাজনীতিও এখন নিয়ন্ত্রণ করছে অদৃশ্য সিন্ডিকেট। এই দন্ডমুন্ডের কর্তারাই এখন সব ঠিক করে দেয়। তারা অনেকটা ঈশ্বরের মতনই, তারা সর্বত্র বিরাজমান। ফলে রাজনীতি ক্রমান্বয়ে জনগনের আস্থা হারাচ্ছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে প্রখ্যাত রাজনীতিক, প্রাজ্ঞ সাংবাদিক ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা আনোয়ার জাহিদের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সুবিধাবাদি আর লুটেরারা এখন রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করছে বলেই জাতীয় সঙ্কট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। দেশে এখন রাজনীতিবিদরা পরিহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছেন। দলীয় বিবেচনায় তাদের অসম্মানিত করা হচ্ছে। যা জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। উজান স্রোতের যাত্রী জননেতা আনোয়ার জাহিদও শেষ জীবনে শিকার হয়েছিলেন তথাকতিথ জাতীয়তাবাদী সুবিধাবাদি রাজনীতির।
তিনি আরো বলেন, মরহুম আনোয়ার জাহিদ ছিলেন সংগ্রামী জাতীয়তাবাদী নেতা ও দেশপ্রেমিক। এক সময়ের খ্যাতিমান সাংবাদিক। তারমত মেধাবী ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিকদের ব্যবহার করে প্রয়োজন শেষে যারা ছিটকে ফেলেছেন সময় তাদের ক্ষমা করে নাই। তারাই আজ পদে পদে অপমানিত হচ্ছেন। তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কঠোর সমালোচনা করলেও কারো সর্ম্পকে কুটুক্তি বা অশ্লিষ শব্ধ ব্যাবহার করতেন না। যা আজকের রাজনীতিতেই ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।
এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, দৈনিক দেশজগত সম্পাদক, বিশিষ্ট গবেষক কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, এনডিপি ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব হায়াত মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক আর কে রিপন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি ইতিহাসে এক ধ্রুবতারার নাম আনোয়ার জাহিদ। নীতিহীন রাজনীতির যুগে তিনি ছিলেন অনুস্মরণীয় ও অনুকরণীয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে ভদ্রভাষায়ও যে ভিন্নমত প্রকাশ করা যায় তার জলন্ত দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, আনোয়ার জাহিদ আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে। যার ফল আজও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ভোগ করতে হচ্ছে। যখন রাজনীতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আঙ্গুল উঠানো হয় তখন তাকে উপস্থিত করা যায় সততার দৃষ্টান্ত হিসাবে।