নিজস্ব প্রতিবেদক◊◊
দেশের যুব সমাজ জাতির আশা-ভরসার কেন্দ্রস্থল বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন,জাতীয় যে কোন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যুবসমাজ অগ্রণী এবং সাহসী ভূমিকা পালন করতে পারে। ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র নির্বাচন, ৬২, ৬৬, ৬৯ এমনকি ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ ও ‘৯০-এর উত্তাল দিনে দেশবাসীকে তারা আশা দিয়ে, ভরসা দিয়ে, শক্তি দিয়ে, মেধা দিয়ে, মনন দিয়ে এবং প্রতিভা দিয়ে, প্রেরণা জুগিয়েছে। এ ত্যাগ ও সংগ্রামী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের বর্তমান যুব সমাজ দেশগঠনে স্মরণীয় ভূমিকা রাখতে পারে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বর্তমানে যুবসমাজের অবস্থা খুব ভয়াবহ। দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থির কারণে যুবসমাজের মধ্যে আজ নৈরাজ্য, অবক্ষয়, হতাশা, ব্যর্থতা ও আশা ভঙ্গের আর্তনাদ ধ্বনিত হচ্ছে। অবশ্য গোটা যুবসমাজ এহেন অবক্ষয়মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে নয়। যুবসমাজধারী মুষ্টিমেয় লোকজন এর সাথে জড়িত। বৃহত্তর যুবসমাজের মঙ্গলের কথা ভেবে এ অবক্ষয় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সচেতন যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, যুব সমাজকে ভুলে গেলে চলবে না জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্মরণীয় অবদান রাখা তাদের কর্তব্য। যুবক-যুবতীরাই হচ্ছে দেশ ও জাতির প্রাণশক্তি। তারাই সকল কর্মকান্ডের মূল চালিকাশক্তি ও ভবিষ্যতের কর্ণধার। এ যুবসমাজকে বাদ দিয়ে জাতীয় জীবনে উন্নতি ও অগ্রগতির কথা ভাবাই যায় না।
তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের বেকার যুবসমাজের চিত্র শুধু উদ্বেগজনক নয়, ভয়ংকারও বটে। এ ভয়ংকার পরিস্থিতিতে সমাজে শুধু যে হতাশা বাড়ছে তা নয়, বরং নানাবিধ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দ্বারা ও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে শান্তি-শৃঙ্খলা, নৈতিহতা ও নিরাপত্তা, বাড়ছে অস্থিরতা ও সামাজিক অপরাধ। শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও যুব শক্তিকে আত্নকর্মসংস্থানে উদ্ধুদ্ব করে তুলতে হবে। বর্তমান আর্থ-সামাজিক পেক্ষাপটে আত্নকর্মসংস্থান ছারা আমাদের ব্যাপক বেকারত্ব মোকাবেলায় আর অন্য কোন গত্যন্তর নেই। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আত্নকর্মসংস্থানের প্রতি সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।