আরিফুজ্জামান আরিফ, ঠাকুরগাঁও।।
আখ মাড়াই মৌসুম চালু না হতেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবার বন্ধ হয়ে গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের একমাত্র চিনিকল। যদিও এ সমস্যা সমাধানে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে আখ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সেতাবগঞ্জ, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। একই সঙ্গে লোকসানের প্রহরও গুণছেন তারা।
ঠাকুরগাঁও চিনিকলের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ ডিসেম্বর পঞ্চগড়, সেতাবগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁওয়ের ৫০ হাজার টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এবছর মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন হয়। এর পরদিন ভোর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর থেকে দু-এক ঘণ্টা করে চিনিকল চললেও বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে। এখন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মিলটি আর চলছেই না। ফলে মিলে আখ মাড়াই কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ আছে।
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও চিনিকল ঘুরে দেখা গেছে, মাড়াইয়ের জন্য নিয়ে আসা আখের গাড়ি লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাড়াইয়ের জন্য আখ নিচ্ছে না চিনিকল কর্তৃপক্ষ। ফলে বসে বসে লোকসানের প্রহর গুনছেন অনেক আখচাষি। আবার অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিনিকল সংলগ্নমাঠে আগের গাড়ি থেকে আখ ফেলে দিয়ে বাসায় চলে যান। ফলে আখগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।
আখচাষি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমি এবার ১০ একর জমিতে আখ চাষ করেছি। এ বছর আখ দেওয়ার অনুমতিও আছে আমার কাছে। চিনিকলে কয়েক গাড়ি আখ নিয়ে এসেছি মাড়াইয়ের জন্য। এসে দেখি আখ নিচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ বলছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আখ মাড়াই বন্ধ আছে দুদিন ধরে।
আরেক আখচাষি বলেন, আমি ২০ একর জমিতে আখ চাষ করেছি। এত পরিমাণ আখ চাষ করে আমি বিপাকে পড়েছি এখন। লোকসান গুণতে গুণতে একদিন দেখা যাবে কোনো কৃষকেই আর আখ চাষ করবে না।
চাষিদের অভিযোগ, যান্ত্রিক ত্রুটি হতে পারে। যদি আগে থেকে মিল কর্তৃপক্ষ মাইকিং করতো তাহলে আমাদের আখ নিয়ে এত কান্নাকাটি করতে হতো না। আমরা ক্ষেত থেকে আখ মাড়াইয়ের জন্য মিলে আনতাম না।
ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চিনিকলে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। শিগগির এ সমস্যা সমাধান করা হবে। সমস্যাটি কৃষকদের জানাতে সোমবার সকাল থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।